আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৬৯৩

জোব চার্নক

(১৬৩০-১৬৯৩) এদিন মারা যান। তাঁর নেতৃত্বে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এসে পৌঁছয় সুতানুটির ঘাটে। তারও প্রায় ষাট বছর পরে ব্রিটিশরা গোবিন্দপুর গ্রামে নতুন ফোর্ট তৈরি শুরু করে। তখন থেকে কলকাতার নগরায়ণের সূচনা। ব্যক্তি হিসেবে তিনি খুব সুবিধের ছিলেন না। এর আগে পাটনায় তিনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং বাংলার কাশিমবাজার কুঠিতে কাজ করার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ ও নারীঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি হুগলি কুঠিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। মোঘলদের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির কারণে চার্নক হুগলির মোঘল সুবাদারের আড়তের উপর গোলাগুলি চালিয়ে, আগুন লাগিয়ে দেন। ভারতের ইতিহাসে সেই প্রথম মোঘলদের বিরুদ্ধে ইংরেজদের অস্ত্রধারণ এবং সেটার সূচনা করেছিলেন চার্নকই। সঙ্গের ছবিটি কলকাতার সেন্ট জনস চার্চে চার্নকের সমাধির।

 

১৯০৮

বিনয় মুখোপাধ্যায় (১৯০৮-২০০২) এদিন ঢাকার ফেগুনামারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও প্রশাসক। হিমাংশু দত্তের মৃত্যু গীতিকার হিসেবে তাঁর জীবনে দাঁড়ি টেনে দেয়। ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করতেন। ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে দীর্ঘদিন কাজ করেন। সেই সূত্রে ১৫ অগাস্ট, ১৯৪৭-এর প্রাক্কালে সোদপুরে গান্ধীজির কাছে বাণী চাইতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছিল। গান্ধীজি তাঁকে বলেন, তাঁর পক্ষে বাণী দেওয়া সম্ভব নয়, তাঁর মন ভেঙে গিয়েছে। কর্মজীবনে যাযাবর ছদ্মনামে রচিত গ্রন্থ ‘দৃষ্টিপাত’ পাঠকমহলে আলোড়ন তুলেছিল। ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রথম বাংলা ভাষায় রচিত তাঁর ‘খেলার রাাজা ক্রিকেট’ ও ‘মজার খেলা ক্রিকেট’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তাঁর লেখা ‘পুষ্পপট’ বাংলা ভাষায় ফুল-সাজানো বিষয়ে প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার ও নরসিংহ দাস পুরস্কার।

১৯৮২

সুধীন দাশগুপ্ত

(১৯২৯-১৯৮২) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুরো নাম সুধীন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত। প্রখ্যাত সুরকার, পূর্ব-পশ্চিম মিলেছিল তাঁর সুরে। এদিন বিকেলে বাণীচক্র থেকে গান শিখিয়ে ফিরলেন। স্ত্রী তখন হার্ট অ্যাটাকে শয্যাশায়ী। ফিরে চিকেন পকোড়া বানালেন। তার পর বাথরুমে ঢুকে বাথটবে বসে চার লাইন গানও লিখলেন। তখনই স্ট্রোকগুলো হল। আর উঠতে পারলেন না। দরজা ভেঙে বের করা হয় তাঁকে। সুধীনের মৃত্যুর পর তীব্র অর্থকষ্টের মধ্যে পড়ে তাঁর পরিবার। প্রায় পঞ্চাশটির কাছাকাছি বাংলা ছবিতে গান লেখা, সুর করা শিল্পীর স্ত্রীকে এক সময় দরজায় দরজায় ঘুরে শাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল।

১৯০১

তিমিরবরণ

(১৯০১-১৯৮৭) এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সরোদশিল্পী ও ভারতীয় বৃন্দবাদনের অন্যতম পথিকৃৎ। মঞ্চে ও চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। উদয়শঙ্করের নাচের দলেও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। রবীন্দ্রভারতীর সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। পেয়েছেন সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, আলাউদ্দিন পুরস্কার ও বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম সম্মান।

১৯৩০

বাসু চট্টোপাধ্যায়

(১৯৩০-২০২০) এদিন রাজস্থানের অজমেঢ় শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। বলিউডের বাণিজ্যিক ছবির জমানায় বাস্তবকে সিনেপর্দায় তুলে ধরেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায়। সত্তরের দশকে ভিন্ন ধারার ছবির এক নিদর্শন রেখেছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না, দেব আনন্দ, মিঠুন চক্রবর্তী স্টার বা হিরো নয়, মানবিক নায়ক হয়ে উঠেছিলেন তাঁর ভাবনায়। তাঁর পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমাগুলি হল ‍‘সারা আকাশ’, ‍‘পিয়া কে ঘর’, ‍‘খাট্টা মিঠা’, ‍‘চক্রব্যূহ’, ‍‘বাতো বাতো মে’, ‍‘জিনা ইহা’, ‍‘আপনে পেয়ারে’। দূরদর্শনে প্রচারিত জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‍‘ব্যোমকেশ বক্সী’ এবং ‍‘রজনী’ও তাঁরই পরিচালনা।

 

১৯২৪

সবিতাব্রত দত্ত

(১৯২৪-১৯৯৫) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ‘নবনাট্য’ যুগের বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক। ‘চারণকবি মুকুন্দদাস’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। সংহতির প্রসারে, দেশপ্রেমের প্রচারে যেখানেই ডাকা হত সেখানেই যেতেন এই ‘স্বদেশি গান গাইয়ে’। অবস্থাবিশেষে মাইক ছাড়াই উদাত্ত কণ্ঠে গেয়ে উঠতেন ‍‘ছেড়ে দাও রেশমি চুড়ি’ বা ‘ভয় কী মরণে’ কিংবা ‘চল চল ভারত সন্তান, মাতৃভূমি করে আহ্বান’।

১৯৭২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবস। এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করে তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

১৯৬৭

রাধাবিনোদ পাল

(১৮৯৬-১৯৬৭) এদিন প্রয়াত হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের বিচারক ছিলেন। জাপানের আন্তর্জাতিক আদালতে (১৯৪৬-১৯৪৮) তিনি একমাত্র বিচারক যিনি যুদ্ধকালীন জাপান সরকারকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করেননি।

 

 

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleসুরলোকে উস্তাদ! আজই শেষযাত্রা, রবীন্দ্র সদনে দেওয়া হবে গান স্যালুট