বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন ফের গঙ্গাসাগর মেলার বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন গঙ্গাসাগর জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের মন্দিরগুলির সংস্কারের জন্য সরকারি তরফে খরচ করা হয়েছে। আরও বহু মন্দির সংস্কার করা হবে। তিনি জানান, ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে কালীঘাটের জন্য। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ২০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এছাড়াও কচুয়া, চাকলা, অনুকুল ঠাকুরের মন্দিরের জন্যও অর্থ সংস্থান হয়েছে।ইস্কনকে ৭০০ একর জমি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। জল্পেশ মন্দির সংস্কার হয়েছে। বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দিরের সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ। তারাপীঠের মন্দির সংস্কার হয়েছে। তারকনাথ মন্দির সহ রাজ্যের একাধিক মন্দির সংস্কারের কাজ হয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গাসাগর প্রতি বছর হয়। কোটি কোটি লোক যাতায়াত করেন। এবার কুম্ভ নেই, কোটি লোক ছাড়িয়ে যাবে। এবার ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত। আগের বার ৮০ লক্ষের বেশি মানুষ এসেছিল। বাংলা কেন সাহায্য পাবে না। বাংলা কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না। এই চিঠিও আমরা দিয়েছি।”
