আগামী ১৭ জানুয়ারি নিউটাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার পর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের শিলান্যাস। বৃহস্পতিবার একথা ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে এক আলোচনাচক্রে ভাষণ দেবেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রমুখ। সেখানেই বামেদের তরফে আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলায় পা রাখছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন তিনি। তবে বামেদের অনুষ্ঠানে নীতীশকে আমন্ত্রণ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রীর বাংলায় উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা ছিল নীতীশ কুমারের। এই জোটে বামেদের পাশাপাশি রয়েছে তৃণমূল। নীতীশের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা থাকলেও বাম তৃণমূল বাংলায় ‘চিরশত্রু’। এই অবস্থায় ‘শত্রু’ শিবিরে দাঁড়িয়ে মমতার বন্ধু নীতীশ কী বার্তা দেন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জ্যোতি বসু সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে পাঁচ একর জমি দিয়েছিল হিডকো। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর আটকে যায় জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। এনিয়ে সিপিআইএমের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়। বহু টালবাহানার পর জ্যোতি বসু সোশাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে বরাদ্দ পাঁচ একর জমি হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার। সিপিআইএম নেতা রবীন দেবের হাতে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়।