১১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইডির তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, তাপস রায়ের বাড়িতে। অন্যদিকে, উত্তর দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ি অভিযান শেষে বেরিয়ে গেলেন আধিকারিকরা। এদিন তল্লাশি অভিযানের মাঝেই বিকেল ৪টা ১০ মিনিট নাগাদ সুজিত বসুর পৈত্রিক বাড়ি থেকে তাঁর ছেলেকে নিয়ে বার হতে দেখা যায় ED আধিকারিকদের। তাঁকে শ্রীভূমির উলটো দিকের একটি অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জায়গাটিতে সুজিত বোসের আগে অফিস ছিল বলে জানা যাচ্ছে। সন্ধেয় আবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। তবে সুজিতের বাড়িতে এখনও অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল চারটের সময়ে দেখা যায় সুজিত বসুর পুরনো বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন তাঁর ছেলে সমুদ্র বসু। সমুদ্রের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন ইডির অফিসার। দেখা যায়, পুরনো বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’শ মিটার দূরে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে একটি অফিসে ঢুকলেন তাঁরা। বহুতল সেই বাড়ির নিচের তলায় মন্ত্রীর অফিস রয়েছে। এদিন সুজিত পুত্র বাড়ি থেকে বেরোতেই সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ইডি কি কিছু বাজেয়াপ্ত করেছে? তাঁকেও কি জেরা করা হয়েছে? জবাবে সমুদ্র বসু বলেন, “এ ব্যাপারে কিছু এখন বলা যাবে না। ওঁরা তদন্ত করছেন। আইন তাঁর নিজস্ব পথে চলবে। তদন্ত চলতে দিন। তারপর যা সামনে আসার আসবে। আমাদের তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।”

এদিকে ইডির এই তৎপরতা পুরোপুরি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তুলে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিজেপির নিদের্শে হচ্ছে। বিজেপি নেতারা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের লিস্ট পাঠিয়ে দিচ্ছে ইডি-সিবিআইকে। তার পর তল্লাশি হচ্ছে। মানুষের মনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরির চেষ্টা চলছে।” এর পরই কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও কেন ইডি-সিবিআই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে না।
