সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেছিলেন তলব করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। সেই বৈঠকে রাজ্যের জবাবে সন্তুষ্ট রাজ্যপাল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক ইতিবাচক। রাজ্যের তরফে অনেক তথ্য দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। সেখানে বেশ অনেকক্ষণ বৈঠক চলে। এই বৈঠকের ব্যাপারে এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘ইডির হয়রানি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছি। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখছি।’ শেখ শাহজাহান কোথায়, সে নিয়ে কি কোনও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে রাজ্যপাল বলেন, “কেন শেখ শাহজাহানকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি, তা জানতে চেয়েছিলাম মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়াতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। মাথা ফাটে, গাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার রেশ এখনও চলছে। ঘটনার পর ৭ দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা শাহজাহান। সূত্রের খবর, শাহজাহানের খোঁজ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। দিকে দিকে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।
