Thursday, November 6, 2025

রাজ্যপালের চিঠি ‘অযৌক্তিক’, পাল্টা চিঠি দিয়ে দাবি উচ্চশিক্ষা দফতরের

Date:

Share post:

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে। অন্যদিকে উপাচার্য সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এই দুই যুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো রাজ্যপালের চিঠি ‘আযৌক্তিক’ (Illogical) ও ‘অকল্পনীয়’ (unimaginable) বলে দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে এই চিঠির উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই দাবি উচ্চশিক্ষা দফতরের (Higher Education Department)। এই চিঠির প্রেক্ষিতেই রাজভবনকে পাল্টা জবাব দেয় শিক্ষা দফতর। রাজ্যের পক্ষ থেকে সংঘাতের আবহ বারবার কমিয়ে আনা সত্ত্বেও রাজ্যপালের এই চিঠিতে নতুন করে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

৫ জানুয়ারি আচার্যের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। সেই চিঠিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার জন্য যে খরচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি করেছে তার কারণ দেখাতে বলা হয়। তারই পাল্টা চিঠি রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাজভবনে পাঠানো চিঠিতে উচ্চশিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় একাধিক বিষয় দফতরের আওতাধীন। শুধু তাই নয়, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে খরচ বা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় করছে তার জবাব দফতর চাইতে পারে। উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতের দেওয়া নির্দেশকে তুলে ধরে দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আচার্যের (Chancellor) বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার এই মুহূর্তে নেই। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির থেকে জবাবদিহি চাওয়ারও অধিকার নিয়ে রাজভবনের কাছে প্রশ্ন তোলা হয়।

রাজভবনের চিঠিতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন নির্দেশ পাঠানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই নির্দেশ পালনের আগে আচার্যের দফতরের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠানো আচার্যের চিঠি আসলে অযৌক্তিক, এমনকি অসাংবিধানিক (unconstitutional) যা উচ্চশিক্ষা দফতরের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে, বলে রাজ্যের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। এর কারণ হিসাবে রাজ্যপালের পদমর্যাদার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে রাজ্যপালের পদটি সাংবিধানিক হলেও একজন আচার্যের পদ ‘স্ট্যাচুয়েটরি’ বা বিধিবদ্ধ পদ। তিনিও নিয়মের বাইরে নন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজ্যপালের চিঠির উত্তরের পাশাপাশি যাদবপুর প্রসঙ্গ নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সমাবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে ফের বলা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, তারা আচার্যের অনুমতি ছাড়া প্রয়োজনে সমাবর্তন সঞ্চালনা করতে পারে। এই বিষয়ে রাজভবনের তরফে জবাব এলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর।

spot_img

Related articles

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...

JNU-তে ফের বাম জোটের জয়জয়কার, খাতা খুলতে পারল না ABVP

ফের দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে (JNU Students' Union Elections) খাতা খুলতে পারল না এবিভিপি। JNU ছাত্র...

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় গাইতেই হবে রাজ্য সঙ্গীত: জারি নির্দেশিকা

এবার থেকে রাজ্যের স্কুলে প্রার্থনায় বাধ্যতামূলক করা হল রাজ্য সঙ্গীত। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,...

বিনামূল্যে হৃদরোগের চিকিৎসা – জটিল অপারেশন! ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প নিয়ে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর

নয়া মাইলফলকে পৌঁছাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প । কলকাতা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তরবঙ্গ...