Tuesday, December 23, 2025

আমি গাঁজার ব্যবসা করি বিজেপি জানতো,দলই ফাঁসিয়েছে: বিস্ফোরক ধৃত নিমাই

Date:

Share post:

শনিবারই হাওড়ার সাঁকরাইলে এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির পাশে টালির ঘরে প্যাকেট-প্যাকেট গাঁজা উদ্ধারে চোখ কপালে ওঠে দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও। তারপরেই ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ৪১ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের ছবি প্রকাশ করে সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার খোদ ধৃত বললেন, ‘দলের লোকেরাই আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি গাঁজার ব্যবসা করি সেকথা বিজেপির নেতারা জানতেন। তাঁদের জানিয়েই আমি দীর্ঘদিন ধরে গাঁজার ব্যবসা করতা। আমি বিজেপির কিষাণ মোর্চার হাওড়া সদরের সহ সভাপতি। অন্য কেউ নয়, দলের লোকেরাই আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসালো।’ সাঁকরাইলের কান্দুয়ায় বিজেপি সদস্যা রূপা রায়ের বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত রূপার স্বামী নিমাই রায় সরাসারি এমনটাই অভিযোগ তুললেন।

এদিকে, গাঁজা মজুতের দায়ে ধৃত বিজেপি নেতা নিমাই রায়ের সঙ্গে একাধিক সময়ে বিজেপির তাবড় নেতাদের একই ছবিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে নিমাই রায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তা নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ রবিবার বলেন, গাঁজা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যেসব নেতাদের ছবি দেখা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

এদিন ধৃত নিমাই ও তার দুই সাকরেদ সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগমকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধেই মাদক-বিরোধী একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। হাওড়া আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসস্ট্রেট ধৃত তিনজনের জামিনের আবেদন খারিজ করে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার এনডিপিএস কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওডিশা থেকে ওই গাঁজা এই রাজ্যে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। নিমাইয়ের সঙ্গে ধৃত বাকি দুই উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলের বাসিন্দা সত্যদেও সাহানি ও আনোয়ারা বেগম ওই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এলাকায় শাক-সবজি বিক্রি করার নাম করে এসে ওই গাঁজা পাচার করতো আনোয়ারা ও সত্যদেওরা। এই গাঁজা নিমাইয়ের বাড়ি থেকে কলকাতা ও হুগলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হত।

নিমাইয়ের স্ত্রী কান্দুয়া পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা রুপা রায় জানান, ‘আমার স্বামী টোটো চালাতো। কি করে এই ঘটনা ঘটল কিছুই বুঝতে পারছি না।’উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইলের নবঘড়া সরদার পাড়ায় হানা দিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। বিজেপি পঞ্চয়েত সদস্যা রূপা রায়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রূপার স্বামী নিতাই রায় এলাকায় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। গাঁজা মজুতের অভিযোগে বিজেপি নেত্রীর স্বামী-সহ মোট ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।

 

 

spot_img

Related articles

বিপাকে গেরুয়া রাজ্যের পুলিশ! থানায় ঢুকে চিৎকার ‘মৃত’ যুবকের 

মৃত বলে নথিভুক্ত হওয়ার প্রায় দেড় মাস পর থানায় ঢুকে চেয়ার টেনে বসে পড়লেন এক যুবক। পুলিশের উদ্দেশে...

ধর্ষককে জেলমুক্তি! উন্নাও ধর্ষণে ফের জামিনে ‘পুরষ্কৃত’ বিজেপি নেতা

বাংলায় একটি নারী নির্যাতনের ঘটনা হলে দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। এমনকি...

বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না মাধবনের নাম, ছবি: দিল্লি হাইকোর্ট 

সেলিব্রিটিদের নাম, ছবি, কন্ঠস্বর মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনা অনুমতিতেই ব্যবহার করা...

বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ! বিজেপির চক্রান্ত-নাটক যুক্তি দিয়ে ওড়াল তৃণমূল

প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ...