Friday, August 29, 2025

রাজনীতিতে রামচন্দ্রের অপব্যবহার! শঙ্করাচার্যদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তুলোধনা তৃণমূলের

Date:

Share post:

রীতি মেনে হচ্ছে না অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। সেই কারণে যাচ্ছেন না দেশের চার শঙ্করাচর্য। এই বিষয় নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল। রবিবার, তৃণমূল (TMC) ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, রামমন্দির যে ধর্মীয় রীতি মেনে হচ্ছে না, সেটা তৃণমূল না বলছেন দেশের শঙ্করাচার্যরা। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই রামকে নির্বাচনী এজেন্টের মতো ব্যবহার করছে বিজেপি- তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল।

২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। সনাতন ধর্মের নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে! সেই কারণে রামমন্দির উদ্বোধনে (Ram Mandir Inauguration) থাকবেন না ৪ শঙ্করাচার্য (Shankaracharya)। সেই দিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী হিসেবে শঙ্করাচার্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, চার শংকরাচার্য সেদিন উপস্থিত থাকবেন না কেননা সনাতন ধর্মের নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে এই অনুষ্ঠানে। মন্দির পুরোপুরি তৈরি না করেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা একেবারেই শাস্ত্র বিরুদ্ধ। পুরীর গোবর্ধনপীঠের শংকরাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর অভিযোগ, “মোদি সরকারের এই প্রচেষ্টা আসলে কোনও পবিত্র মন্দির নয়, এক সমাধিকে ঘিরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধন করবেন। তিনি বিগ্রহ স্পর্শও করবেন। তাহলে আমি সেখানে গিয়ে কী করব? হাততালি দেব? আমার পদেরও মর্যাদা আছে”।

এই সব মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল মুখপাত্র (Kunal Ghosh) বলেন, দলনেত্রী বার্তা স্পষ্ট। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। কুণালের কথায়, রামচন্দ্রকে অনেকে ঈশ্বর মনে করে পুজো করেন। তাতে তো কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভোটের দিকে নজর রেখে রাজনীতিতে রামচন্দ্রকে অপব্যবহার করছে বিজেপি- তীব্র আক্রমণ কুণালের। তাঁর কথায়, ভোটের আগে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে রামচন্দ্রকে ব্যবহার করেছে গেরুয়া শিবির।

এরপরেই পুরীর শঙ্কারাচার্যের কথা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী বলেছেন ধর্মের কথা। শঙ্কারাচার্যের মতে, অসমাপ্ত মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা শাস্ত্র বিরুদ্ধ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রাণ প্রতিষ্ঠা কে করবেন? কোনও পুরোহিত, সেবাইত? না হলে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলে সেটা ধর্মীয় আচার নয়।

এরপরেই তোপ দেগে কুণাল প্রশ্ন তোলেন, মোদি কি শঙ্কারাচার্যের থেকে বড় হিন্দু? নাড্ডা কি শঙ্কারাচার্যের থেকে বেশি ধর্ম জানেন? তৃণমূলের অভিযোগ, হিন্দুত্বকে নিয়ে রাজনীতির ব্যবসা করছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। শঙ্করাচার্যরা যেখানে বলেছেন, ধর্মীয় রীতি মোনে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না, তাঁরা এটি অনুমোদন করছেন না- সেখানে আর কী বলার আছে!

spot_img

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...