জমির ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে প্রতারিত ৪৬ লক্ষ! দুই প্রতারণায় গ্রেফতার ২

জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আমহার্স্ট স্টিট থানার পুলিশ। এই প্রতারণায় ধৃতের স্ত্রীয়েরও সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিহারের বাসিন্দা এক যুবককে।

প্রতীকী

জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আমহার্স্ট স্টিট থানার পুলিশ। এই প্রতারণায় ধৃতের স্ত্রীয়েরও সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিহারের বাসিন্দা এক যুবককে। কলকাতা শহর বরাবর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে আশ্রয় দিয়ে জীবন গড়তে সাহায্য করেছে। তবে শহরে এসে শহরেরই মানুষের ক্ষতি করার অপরাধে এবার যুক্ত হল আরও দুই নাম।

আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার বাসিন্দা এক সিকিউরিটি এজেন্সির মালিক নিজের এক কর্মচারীর থেকে নদিয়ায় একটি জমি কেনার সূত্রে যুক্ত হয়ে পড়েন। জমির ভুয়ো দলিল, নথি এবং দাবিদার দেখিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে ধাপে ধাপে টাকা নিতে শুরু করে সঞ্জয় ঘোষ নামে ওই প্রতারক। সেই টাকা তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা পড়তে থাকে। সব মিলিয়ে ৪৬ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার হয়ে যাওয়ার পর জমি হস্তান্তরের জন্য চাপ দিতেই বেপাত্তা হয়ে যায় সঞ্জয়। পরে পুলিশ নায়ারণপুরের একটি ডেরা থেকে গ্রেফতার করে তাঁকে। তবে টাকা যেহেতু তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষের অ্যাকাউন্টে, তাই এবার তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ।

অন্যদিকে শেক্সপিয়ার সরণির একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন বিহারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী অনুজ কুমার। সেই টাকা নিজের ও স্ত্রী শোভা দেবীর নামে ব্যবসায় খাটান। কিন্তু কয়েক মাস ঋণের কিস্তি দেওয়ার পরে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন। তারপরই সংস্থা দ্বারস্থ হয় পুলিশের। শেক্সপিয়ার সরণি থানার পক্ষ থেকে বিহারের গয়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা শেরহাটির বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে অনুজকে। তুলে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হাতে। এক্ষেত্রেও প্রতারক ব্যবসায়ীর অংশীদার স্ত্রী শোভার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।