যাদবপুরের ছাত্ররা কি ফেলনা? আচার্যকে ক.ড়া ভাষায় আ.ক্রমণ বুদ্ধদেবের

বিদ্যাসাগর ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যত আছে আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কি ফেলনা? কার্যত এই চাঁচাছোলা ভাষাতেই আচার্য্য সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) নিশানা করে প্রশ্ন তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপসারিত অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadeb Sau)। আচার্যের দ্বিচারিতা নিয়েও নিন্দা করেছেন তিনি। এদিকে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), রাষ্ট্রপতি (President), শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছে আবুটা।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে আচার্য রাতারাতি উপাচার্যকে অপসারণ করেছিলেন। তাঁর এমন পদক্ষেপ দেখে মনে হয়েছিল উপাচার্যকে অপসারণ করতে গিয়ে তিনি যেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অগণিত ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতার ক্রমাগত প্রয়োগ তার একাডেমিক স্বায়ত্তশাসন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীলতার প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করে। ক্ষমতার নির্বিচার প্রয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বায়ত্তশানের অধিকার এবং ছাত্রদের স্বার্থকে খর্ব করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে সম্পূর্ণ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তিতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

এদিকে, উপাচার্যের অনুপস্থিতির কারণে পরিকল্পনা উন্নয়নের কাজ, এনবিএ এবং এনএএসি-সম্পর্কিত কাজ, ছাত্রদের ফিল্ড ওয়ার্কের কাজ, গবেষণা প্রকল্প সংক্রান্ত কাজ, ভর্তি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ এবং অন্যান্য অনেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বরতীকালীন আদেশের ফলে তিনি যে নতুন কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেননা সে বিষয়ে তিনি অবহিত থাকা সত্ত্বেও তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে অপসারণ করেছিলেন। উপাচার্যকে অপসারণ করা স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের নির্ভরশীলতা কাটিয়ে গরিব মানুষকে রেশন দেবে রাজ্য: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Previous articleএকরাশ ফাইল নিয়ে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি শঙ্কর কন্যা ঋতুপর্ণা
Next articleমারাদোনাকে নাকি খু.ন করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ তাঁর ছেলে