কলকাতা বইমেলা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততার বিচ্ছুরণ ঘটায়, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানে আপ্লুত বাণী বসু

বইমেলার মতো উৎসবে আসা মানেই পুরনো উদ্দীপনা এবং উৎসাহের পুনর্জাগরণ আগামীতে আরও কিছু করার উৎসাহ দেয় বলেও এদিন মন্তব্য করেন বিখ্যাত সাহিত্যিক।

বইমেলা (Kolkata Book Fair)প্রাঙ্গণে আজ থেকে শুরু বই উৎসব। বিকেল চারটের কিছু সময় আগেই বইমেলায় পৌঁছে যান রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৪ এর (47th Kolkata International Kolkata Book Fair) উদ্বোধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আলেক্স এলিস সিএনজি, ব্রিটিশ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার মহা নির্দেশক অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই। ভারত ও ইংল্যান্ডের বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের পাশাপাশি ছিলেন বাণী বসু সহ অন্যান্যরা। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের তরফে সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় (Tridib Kumar Chatterjee) ছাড়াও ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা। এদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রীমতি বাণী বসুর (Bani Basu) হাতে সম্মাননা তুলে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্চালিকা লেখিকাকে কিছু বলার অনুরোধ করলে তিনি জানান, শুরুতেই বলার প্রস্তুতি ছিল না কারণ এই সভা থেকেই টুকরো কিছু অনুভূতির গল্পকে তুলে ধরার ভাবনা ছিল মনে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে ৪৭ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বিশেষ সম্মান নিঃসন্দেহে অনন্য। তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের সাক্ষী তাঁর কলম যা কখনও হয়তো থামতে চায় আবার কখনও চায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লিখে যেতে। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখিয়েছে তাতে তিনি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট শব্দটার মানেই যে জীবনের শেষ মুহূর্তের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া এবং কোথাও গিয়ে এবার থামতে হবে এই কথাকে মনে করা তা স্মরণ করেও সাহিত্যিক জানান, তিনি প্রতি বছর শারদীয় পত্রিকার জন্য একাধিক প্রকাশনা সংস্থা থেকে লেখার অনুরোধ পান। “আমাদের দেশের অনেক লেখকদেরই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লেখার কাজটা চালিয়ে যেতে হয়” বলে এদিন উল্লেখ করেন তিনি। সবটা হয়তো স্বেচ্ছায় হয় না আবার কখনও কখনও অসহায়তাও যে এমন ভাবনাকে মাথায় আসতে বাধ্য করে, যেন সেই কথারও আভাস দিলেন সাহিত্যিক। যদিও তিনি জানান যে আগামীতেও প্রবলভাবে লিখতে চান আরও অনেক নতুন গল্প। বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে তিনি বলেন, নতুন কোনও বিষয় পেলে, এমনকি এত সুন্দর উজ্জ্বল কলকাতার বই উৎসব থেকেও কোনও বিষয় যদি মন ছুঁয়ে যায় তা নিয়েও বাণী বসু লিখতে রাজি। তবে একটা সময়ের পর প্রত্যেক শিল্পীকেই হয়তো নিজের কাজের ক্ষেত্রে একটা লাইন টেনে দিতে হয়। বইমেলার মতো উৎসবে আসা মানেই পুরনো উদ্দীপনা এবং উৎসাহের পুনর্জাগরণ আগামীতে আরও কিছু করার উৎসাহ দেয় বলেও এদিন মন্তব্য করেন বিখ্যাত সাহিত্যিক। নিজের বক্তব্য শেষে গিল্ড কর্তাদের এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তিনি।

Previous articleহিন্দু ধর্মে শঙ্করাচার্যের ভূমিকা কী? রামমন্দির উদ্বোধনের আগে জানুন খুঁটিনাটি
Next articleমাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের সময় বদল! পরীক্ষার রুটিন অপরিবর্তিত