২২ তারিখ তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে মিছিল। হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান পর্যন্ত সংহতি মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছল করবে তৃণমূল।

সোমবার, বেলা তিনটে নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা (Mamata Banerjee)। এর পরে হাজরা থেকে ব়্যালি শুরু হবে। পদযাত্রায় সামনের সারিতে থাকবেন সব ধর্মের ধর্মগুরুরা। একাধিক হিন্দু সংগঠন যোগ দেবে এই মহামিছিলে। জনজোয়ারে ভাসবে কলকাতা।
শুধু কলকাতা নয়, বাংলাজুড়ে ব্লকে ব্লকে ওই সর্বধর্ম মিছিল হবে। সেই সব মিছিলেও সব ধর্মের প্রতিনিধিরা সামনের সারিতে থাকবেন।

মিছিল শুরুর আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা। হাজরা মোড় থেকে শুরু হবে মিছিল। বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে কিছুক্ষণের জন্য মিছিল দাঁড়াবে। কাছের একটি গুরুদ্বারে প্রার্থনা করবেন নেত্রী। এরপর মিছিল পৌঁছবে সোজা পার্ক সার্কার্স ময়দানে। সেখানে একটি গির্জা ও একটি মসজিদেও প্রার্থনা করবেন তিনি। এ ছাড়া ওইদিন কলকাতার সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জাতেও যাতে প্রার্থনা হয় সেই ব্যবস্থা করছেন। মিছিল শেষে পার্ক সার্কার্স ময়দানে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখবেন সব ধর্মের প্রতিনিধিরা। এই সভার মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকবেন না।

নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন বাদে কলকাতার রাজপথে একটি বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন। স্বাভাবিক ভাবেই কাতারে কাতারে মানুষ এসে জড়ো হবে সেই মিছিলে। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সাংগঠনিকভাবে তৈরি গোটা দল। এ ছাড়াও পরিস্থিতি ও সময়ের দাবি অনুযায়ী অসংখ্য মানুষ এই মিছিলে ধর্মগুরুদের সঙ্গে তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পা মেলাবেন। সভামঞ্চ থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়রের বার্তা দেবেন মমতা।
