প্রাণপ্রতিষ্ঠায় ব্রাত্যই রইলেন রামমন্দির আন্দো.লনের ‘সারথি’ লালকৃষ্ণ আডবানি

আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়েও রামমন্দিরে গেলেন না লালকৃষ্ণ আডবানি। রামমন্দির আন্দোলনের ‘সারথি’কে ছাড়াই সম্পন্ন হল রামমন্দিরের উদ্বোধন। একইভাবে অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়লেন এই আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মুরলী মনোহর যোশী।

মোদিময় রাম মন্দির অনুষ্ঠানে পুরো লাইমলাইট নরেন্দ্র মোদির দিকে রাখতে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবানিকে। তবে হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এই আবহে পরবর্তীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আডবানিকে। একই পরিস্থিতি হয় মুরলী মনোহর যোশীর ক্ষেত্রেও। তবে দিনের শেষে দেখা গেল দুজনের কেউই এলেন না অনুষ্ঠানে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাম মন্দিরের মুল পথপ্রদর্শক লালকৃষ্ণ আডবানি ও মুরলী মনোহর যোশী অপমানিত হয়ে এলেন না, নাকি ফের পরিকল্পিতভাবে ছেঁটে ফেলা হলো তাঁদের।

প্রসঙ্গত, একসময়ে দুই সাংসদের দলে পরিণত হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এবং জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে ‘রামমন্দির’ ইস্যুকে হাতিয়ার করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশীরা। তবে এই দুই বর্ষীয়ান নেতাকেই রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল রামমন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে। পরে যদিও বা বিতর্কের মুখে আমন্ত্রণ জানানো হয় আডবানিকে। উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অযোধ্যাতেই ছিলেন আডবানি। তাঁর বিরুদ্ধে করসেবকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও ছিল। এদিকে দেশজুড়ে রথযাত্রার মতো একাধিক কর্মসূচির ‘মুখ’ ছিলেন আডবানি। দীর্ঘকাল বিজেপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৬ বছর। অবশ্য মোদি জমানা শুরু হতেই ‘বেঞ্চে বসানো’ হয়েছিল আডবানিকে। এহেন আডবানিকে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় আসতে বারণ করা হয় প্রাথমিক ভাবে।

আরও পড়ুন- রামের মূর্তির শিলাখণ্ড গিয়েছিল, মাইসুরুর সেই গ্ৰামেই ঢুকতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ

 

Previous articleরামের মূর্তির শিলাখণ্ড গিয়েছিল, মাইসুরুর সেই গ্ৰামেই ঢুকতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ
Next articleআগামিকাল ভারতের সামনে সিরিয়া, ম্যাচ নিয়ে কী বললেন স্টিম্যাচ?