রামের মূর্তির শিলাখণ্ড গিয়েছিল, মাইসুরুর সেই গ্ৰামেই ঢুকতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ

রামলালার মূর্তি তৈরিতে কৃষ্ণ শিলা গিয়েছিল মাইসুরু জেলার এক গ্রাম থেকে। তবে রামের উদ্বোধনের দিন সেই গ্ৰামে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হলেন বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। গ্ৰামবাসীদের রোষের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়লেন তিনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটে জিতে গত ১০ বছরে কখনও ওই গ্রামমুখো হননি ওই সাংসদ। তার জেরেই এদিন সাংসদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্ৰামবাসীরা।

জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে গুজ্জেগৌদানাপুরা গ্রামে একটি মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কর্ণাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের তৈরি রাম লালার মূর্তি খোদাই করার জন্য জমিতে থাকা পাথরের খণ্ড ব্যবহার করেন, এই আনন্দে দলিত কৃষক রামদাস এইচ-রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন। সোমবারই ছিল তার ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠান। প্রতাপ সিমহা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁকে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয়। অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মন্ত্রী এসআর মহেশ এবং স্থানীয় বিধায়ক জিটি দেবগৌড়া সহ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে গ্রামবাসীরা অনুষ্ঠানে সামিল হন। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সুরেশ বলেন, “আপনি ১০ বছরে কখনও গ্রামে আসেননি। আমাদের কথা শুনতে চান নি। এখন রাজনীতি করতে এখানে এসেছেন। আপনি কখনই আমাদের কথা শুনতে চান নি এবং আমরা চাই না আপনি এখানে আসুন।”

ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ঘটনার ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সাংসদকে ঘিরে কন্নড় ভাষা চিৎকার-চেঁচামিচি করছেন স্থানীয়রা। শেষে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে বলতে শোনা যায়, “আপনি তো কিছু করেননি। যা করেছি, আমরা করেছি। আমরা রামকে শ্রদ্ধা করি। বেরিয়ে যান।” কিন্তু তাঁকে গলাধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা যায় সাংসদের রক্ষীদের। শেষে প্রতাপ সিমহাকে গাড়িতে তুলে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন সাংসদের এহেন অবস্থায় মুখ পোড়ে বিজেপির।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি যাত্রায় শহরের বুকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’

 

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর সংহতি যাত্রায় শহরের বুকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’
Next articleপ্রাণপ্রতিষ্ঠায় ব্রাত্যই রইলেন রামমন্দির আন্দো.লনের ‘সারথি’ লালকৃষ্ণ আডবানি