মাধ্যমিকের সময়সূচি বদলের আবেদনে সায় দিল না কলকাতা হাইকোর্টে। শেষ মুহূর্তে সূচি বদল হলে পরীক্ষার্থী ও প্রশাসন সবদিকে সমস্যা হতে পারে, এমনটা পর্যবেক্ষণ (observation) করে এই মামলায় মামলাকারীর বিপক্ষে রায় দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তবে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী গোটা রাজ্যের পরীক্ষার্থীর যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখিন না হয়, তার জন্য জারি করেন একাধিক নির্দেশিকা।

এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। বেলা ১২টার বদলে পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতের পর্যবেক্ষণ শেষ মুহূর্তে সময়সূচি আবার বদল হলে বিভ্রান্তি তৈরি হবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। পরীক্ষা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতিতেও সমস্যা হবে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
তবে সময় বদলে পরীক্ষা এগিয়ে আসায় পর্ষদ ও প্রশাসনের পক্ষে কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। রাজ্যের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম (control room) ও হটলাইন, হেল্পলাইন নম্বর খোলার কথা জানানো হয়। এই নম্বরে ফোন করে যে কোনও পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় জানাতে পারবে। সেই মত সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে।

রাজ্যের হেল্পলাইন ও হটলাইন নম্বরের পর্যাপ্ত প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয় আদাতের তরফে। পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যের সেই সব প্রান্তিক এলাকার পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়, যাদের ক্ষেত্রে যোগাযোগ সমস্যাজনক। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর বিষয়ে রাজ্য কী পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত ৩১ জানুয়ারি হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে আদালতে। প্রয়োজনে শুক্রবার থেকে হেল্পলাইন নম্বরগুলি খোলা রাখারও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
