কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোটে না গিয়ে রাজ্যে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথে পা বাড়িয়েছে পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টিও। এবার বিহারেও সেই সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে। পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন তিনি। সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।
আসলে মঙ্গলবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই ঘোষণার পর জলঘোলা হতে উরু করেছে বিহার রাজনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পাটনায় কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেডিইউ-এর আয়োজিত সভায় উপস্থিত হয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে ইউপিএ সরকারকে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন। যদিও তা মানা হয়নি। এইসঙ্গে নাম না করে পরিবারতন্ত্র নিয়েও কংগ্রেসকে তোপ দাগেন তিনি। এর পরেই কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য মোদির প্রশংসা করেন। নীতীশ বলেন, “২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসায় পর থেকেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে (ভারতরত্নের) আবেদন করে আসছি। শেষ পর্যন্ত বর্তমান সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।”
এদিকে বিহারে জেডিইউ ও আরজেডি-এর জোট সরকার থাকলেও কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদ সভা করেছে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডিও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস নয়, এদিন লালুর দলকেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে তোপ দেগেছেন নীতীশ কুমার।