তিন বছরের লড়াই শেষ, শ্রীলার মৃত্যুতে স্মৃতিচারণায় টলিউড!

শ্রীলা মজুমদারকে নিজের দিদি বলেই মানতেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তিনি জানান, কঠিন সময়ে সর্বদা এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন অভিনেত্রী।

৬৫ বছর বয়সে বিদায় নিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumder)। শনিবারই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছর ধরে কর্কট রোগের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে থামলেন অভিনেত্রী। মৃণাল সেনের ‘মানসকন্যা’ চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না টলিউড (Tollywood)। শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “শনিবার বিকেলে অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যুর খবর শুনে শোকাহত। শ্রীলা বিশিষ্ট এবং দক্ষ অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি বহু ভারতীয় ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। বাংলা ছবির জগতের জন্য এটা বড় ক্ষতি। ওঁর নক্ষত্রসুলভ উপস্থিতির অভাব অনুভূত হবে। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”

শ্রীলা মজুমদারকে নিজের দিদি বলেই মানতেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তিনি জানান, কঠিন সময়ে সর্বদা এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন অভিনেত্রী। “আমি ভাবতে পারছি না যে, দিদি এই কথাগুলো আর আমায় বলবেন না”, বলছেন ঋতুপর্ণা।

১৬ বছরের কিশোরী শ্রীলার অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল ১৯৮০ সালে মৃণাল সেনের ‘পরশুরাম’ ছবির মাধ্যমে। শেষ বার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)পরিচালিত ‘পালান’ সিনেমায় শ্রীলাকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল। সেই ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। তিনি বলছেন, সিনেমার শুটিং চলাকালীন অসুস্থ ছিল । কিন্তু একবারও সেই কথা প্রকাশ্যে আনেনি। এমনকি এত বড় একটা রোগের যন্ত্রণা বয়ে চলেছেন তা কোনদিনও বুঝতে দেননি শ্রীলা মজুমদার। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “শ্রীলাদি যে অসুস্থ সেটা আমরা জানতামই না। তিনি নিজেও কখনও জানতে দেননি।কখনও বিশ্রাম চাননি। বাকি সকলের সঙ্গে একটানা কাজ করে গিয়েছেন। মারণরোগ শরীরে নিয়ে কী ভাবে তিনি বিনাবাক্যব্যয়ে সবটা করেছেন, সেটা এখন ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”

শুধু কৌশিক নন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা – পরিচালক অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta)বলছেন,” ভারতীয় পর্দায় ঝড় তুলেছিল শ্রীলা।”বেশ কিছু সিনেমায় অঞ্জন তাঁর সহ-অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। মারণরোগের সঙ্গে শ্রীলার এই লড়াই প্রসঙ্গে অঞ্জন লিখছেন, “শ্রীলা কখনও আমাকে বলেনি। এই লড়াই করার জন্য আমি ওর সাহসের প্রশংসা করি। আমি শ্রীলাকে স্যালুট করি, ওর বিরল সাহসিকতার জন্য।”


Previous articleবঙ্গে রাহুলের ন্যায় যাত্রার মাঝেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে শাদাব খান
Next article“মৃ.ত্যুবরণ করলেও বিজেপির সঙ্গে জোট নয়’’: পাল্টিবাজির মধ্যেই ভা.ইরাল নীতীশের পুরনো ভিডিও