মঙ্গলবার রায়গঞ্জের প্রশাসনিক সভা থেকে বিজেপির ‘একনাকতান্ত্রিক’ শাসন থেকে সাধারণ মানুষকে সাবধান করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে দলীয় সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও দেশে আবার নরেন্দ্র মোদির সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বিজেপি একনায়কতান্ত্রিক হয়ে উঠবে বলে দাবি করেন। এমনকি রাশিয়ার পুতিনের শাসনের সঙ্গে বিজেপি শাসনকে তুলনা করেন তিনি।

কংগ্রেসের দলীয় সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি আশংকা প্রকাশ করেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে গণতন্ত্র বাঁচানোর শেষ সুযোগ। নরেন্দ্র মোদি আরেকটি নির্বাচনে জিতলে দেশে স্বৈরাচার আসবে। বিজেপি রাশিয়ায় পুতিনের মতো ভারত শাসন করবে। তিনি বলেন যে বিজেপি এবং আরএসএসের মতাদর্শ সম্পর্কে জনগণকে জানা উচিত।

দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। সেই স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি-সিবিআইয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতিও তাঁর সুরেই বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসার অস্ত্র হিসাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন। খড়গে দাবি করেন বর্তমান মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্য এবং বিরোধী নেতাদের ভয় দেখিয়ে চলছে। রাজনীতিবিদদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। ইডি এবং আয়কর দফতর রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। রাহুল গান্ধীকে প্রায়শই ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয় কারণ তিনি বিজেপি এবং আরএসএসের বিরোধিতা করেন।

এরই পাল্টা কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং এখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, কারণ কংগ্রেস গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সবকিছুর উর্ধে স্থান দিয়েছিলো, কিন্তু এখন আপনারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন। এবং তারা সংবিধানের মূল নীতিগুলিকে ধ্বংস করছে। এককথায় বিজেপির যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতায় থাকার প্রবণতারই সমালোচনা করেন তিনি।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে অবশ্য তেমন উদ্বিগ্ন নন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন মহাজোট থেকে একজনের বিদায়ে মহাজোট দুর্বল হবে না। নীতীশ কুমারের ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা বিজেপিকে পরাজিত করব।
