Monday, November 10, 2025

বিজেপির নারী বিদ্বেষের প্রতিবাদে রাজপথে মহিলা তৃণমূলের ‘চলো পাল্টাই’

Date:

কোনওভাবেই নারীর অপমান সহ্য নয়। তাই এই অবস্থার পরিবর্তন করতে আওয়াজ উঠেছে ‘‌চলো পাল্টাই’‌। বিজেপির বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে এবার শহরের রাজপথে নামল মহিলা তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে নারী বিদ্বেষের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকীতে রাজ্যেজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় প্রতিবাদ কর্মসূচি-সহ ৩৪টি ‘চলো পাল্টাই’ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে মহিলাদের অসম্মান, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের যে বঞ্চনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ সহ নানা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিল শেষে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান ও মশাল জ্বালান নেতৃত্ব।

এদিনের মিছিলে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নেতৃত্ব দেন। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ্য আরও অনেকে। এদিনের মিছিল থেকে বিজেপির নারী বিদ্বেষের প্রতিবাদে তিনটি গানের অ্যালবামও প্রকাশ করা হয়।

তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিজেপি আই টি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর অশালীন মন্তব্য করেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে, বিজেপি আইটি সেল ধর্ষকদের নিয়োগ করছে, তার বিরোধিতা করতেই এই কর্মসূচি। নারীর অপমান বাংলা সহ্য করবে না।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিলকিস বানোর ইস্যুটিও তুলে ধরা হয় এদিন। চন্দ্রিমা বলেন, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি। আদালতের নির্দেশেই ফের জেলে ঢুকেছে ধর্ষকরা। আসলে এরা মেয়েদের প্রতিবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে। সেকথাটাই আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরব।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের ‘ঠুমকা’ মন্তব্যও নারী জাতিকে অপমান করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। নেতৃত্বর দাবি, অশালীন মন্তব্যের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিই প্রমাণ করে বিজেপি আসলে পুরুষতন্ত্র কায়েমের পক্ষপাতী এবং এটাই এদের স্বরূপ।রাজ্য সরকারের যে সকল জনকল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, তা আবারও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।

লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের নেপথ্যেও বিজেপির রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। চন্দ্রিমা বলেন, লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করে আসলে ওরা মহিলাদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চাই, কবে সেই আইন প্রয়োগ করা হবে? ২০২৪ সালে, ২০২৯ সালে নাকি ২০৩৪ সালে? তারা হয়তো এর উত্তরও দিতে পারবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত জনগণনাই করা হয়নি। তাই নারী-পুরুষের অনুপাতও নির্ধারণ করা হয়নি। মহিলাদের জন্য কত বা কী কী আসন সংরক্ষণ করা হবে, তাও এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, মহিলারাই সমাজ সৃষ্টি করেন। তাঁদের বোকা বানানো এত সোজা নয়। তাই আমরা ওদের বলব, নারীদের এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করা এ বার বন্ধ হোক। ২০২১ সালে ওরা বাংলা দখল করতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার বদলে ওদেরই বাক্সবন্দি করে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তো দিল্লিতেও ওরা ঠিক মতো স্থান পাচ্ছে না।

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version