যাদবপুরের বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রীর মৃত্যুর তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন

পাঁচ সদস্যের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিকে এই তদন্তভার দেওয়া হয়। তাঁদের সাহায্য করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আরও তিন সদস্যকে। সেই তিনজন হলেন একজন নার্স, একজন বিভাগীয় শিক্ষক ও একজন বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক।

বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। দ্রুত এই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হল। প্রাথমিকভাবে হোস্টেলে থাকা পড়ুয়ার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশও এই ঘটনায় ছাত্রী মৃত্যুর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

জলপাইগুড়ির মালবাজারের বাসিন্দা যাদবপুরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার দেহ ১৮ জানুয়ারি তাঁর দাদুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ছাত্রীর বাবা প্রথমে মালবাজার থানায় (Malbajar polie station) অভিযোগ দায়ের করেন। ২৫ জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ মৃতার বন্ধু এক ছাত্র ও এক গবেষণারত আরেক ছাত্র বারবার ফোন করে মানসিক নির্যাতন চালায়। এমনকি শারীরিক নির্যাতন করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির পর খোলা হলেই অভিযোগ নিয়ে তৎপরতা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। মঙ্গলবারই বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির (Anti Ragging Committee) অধীন, না আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি – সে বিষয়ে আলোচনা চলে। তবে কোনও রকম তদন্তের আগে অভিযুক্ত পড়ুয়দের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ছাত্রীর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে ক্যাম্পাসে ছাত্রমৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক আধিকারিকরা দাবি করেন, অভিযুক্ত দুই পড়ুয়ার সঙ্গে মৃতার ফোনে অনেকবার কথা বলার তথ্যও পেয়েছেন তাঁরা। তবে যেহেতু এই ছাত্রীর মৃত্যু ক্যাম্পাসের বাইরে ও ছাত্রীর বাড়িতে হয়েছে, সেক্ষেত্রে তদন্তের প্রক্রিয়াও কঠিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটিকে এই তদন্তভার দেওয়া হয়। তাঁদের সাহায্য করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আরও তিন সদস্যকে। সেই তিনজন হলেন একজন নার্স, একজন বিভাগীয় শিক্ষক ও একজন বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষক।

Previous articleBSF-কার্ড নিলে এনআরসির কোপে পড়ে যেতে পারেন! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার
Next articleমৃত্যু মুখ থেকে ফিরে মুখ খুললেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল