Thursday, November 6, 2025

কবে মিলবে টাকা? সংসদের অধিবেশনে বাংলার বকেয়া নিয়ে সরাসরি মোদিকে প্রশ্ন সুদীপের

Date:

Share post:

১০০ দিনের কাজ-সহ বাংলার প্রাপ্য বকেয়া টাকা নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতৃত্ব। বুধবার বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) প্রথম দিনই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বাংলার বকেয়া (Pending Fund) নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি মোদিকে প্রশ্ন করেন, বাংলার বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র? বুধবার বাজেট অধিবেশন শুরু হলেও বৃহস্পতিবার পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। 

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানান, বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সুদীপ আরও জানান, এদিন সংসদে রাষ্ট্রপতির সম্ভাষণের সময় তাঁর আসন প্রধানমন্ত্রীর কাছেই পড়েছিল। সেই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রশ্ন করেন, “একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের টাকা বকেয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসে আপনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপরও মেলেনি বকেয়া অর্থ। এরপরই  সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রশ্ন করেন কবে এই বরাদ্দ টাকা দেবে কেন্দ্র? পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রকে দুষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধ্য করা হচ্ছে ধর্না-সত্যাগ্রহে বসতে। লোকসভাতে এই নিয়ে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তবে বাংলার বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি প্রশ্ন করলে উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্যাগ রিপোর্ট পড়ে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ক্যাগ রিপোর্ট সামনে এনে সাংবাদিক বৈঠকও করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা বলেন, শুধুমাত্র  ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভরসা করে একটি রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনোরকম অভিযোগ তোলা যায় না। এই রিপোর্ট প্রথমে পাঠাতে হবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে। তাদের পর্যবেক্ষণের পরই চূড়ান্ত হবে রিপোর্ট। এইভাবে তা প্রকাশ করা যায় না।

এদিকে বৃহস্পতিবারের বাজেট নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে, সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই সরকারের একমাত্র দিশা বাংলাকে বঞ্চনা। এই সরকারের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আমাদের কোনওরকম প্রত্যাশা নেই। তৃণমূল সাংসদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং এক কথা বলছেন, তারপর বেরিয়ে যাচ্ছেন। পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনও তাঁর দফতরের পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তারপর তাঁরা জানাচ্ছেন, আমাদের অপেক্ষায় নাকি বসেছিলেন। যা করতে হবে, রাস্তায় নেমে লড়াই করেই ছিনিয়ে নিতে হবে।” কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সত্যাগ্রহ অনশনে বসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...