মুখ পুড়ল বিশ্বভারতীর। সিউড়ি আদালতে অমর্ত্য সেনের আবেদন মঞ্জুর। অমর্ত্য সেনকে দেওয়া বিশ্বভারতীর ‘জায়গা ছেড়ে দেওয়ার’ নোটিশ খারিজ করল আদালত। বুধবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পক্ষে আইনজীবী বিমান চৌধুরী আদালতের এই নির্দেশ জানালেন। উল্লেখযোগ্যভাবে শুনানিতে উপস্থিতই ছিলেন না বিশ্বভারতীর পক্ষের আইনজীবী।

২০২৩ সালে বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমাল জায়গা অমর্ত্য সেনের ‘প্রতীচী’ বাড়ির ভিতরে ঢুকে রয়েছে বলে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি নোবেলজয়ীকে সেই জমি খালি না করায় জমি থেকে উচ্ছেদের নোটিশও পাঠানো হয়। বিশ্বভারতীর নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। তাঁর আবেদন ছিল তাঁর পিতা প্রয়াত আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী কোনও অনধিকার প্রবেশ তিনি করেননি। বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশের বিরুদ্ধে তিনি আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন তিনি।

এর আগেই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সিউড়ি আদালতে সেই মামলায় বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশটিই খারিজ করে। আদালতের রায়ের পর শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। একাধিকবার আশ্রমিকরা বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেনের সমর্থনে বিক্ষোভ সংগঠিত করেন। গতবছর অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর কুরুচিকর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিক্ষোভ দেখায়। সেখানেও আশ্রমিকরা অনেকেই অমর্ত্য সেনের সমর্থনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।

বুধবারের পর্যবেক্ষণে বিশ্বভারতীর সার্ভে রিপোর্টে ভুল থাকার কথা জানানো হয় আদালতের তরফে। সেই সঙ্গে উচ্ছেদের যে নোটিশ জারি হয়েছিল তা স্বৈরতান্ত্রিক ও পক্ষপাতদুষ্ট বলেও প্রমাণিত হয়। কার্যত বুধবারের আদালতের রায় প্রবীণ আশ্রমিক তথা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ওপর তৈরি হওয়া অসম্মানজনক পরিস্থিতির উত্তর বলে মনে করছেন আশ্রমিকরা।
