বাতিল বিমান! ঝাড়খণ্ডের ৩৮ জোট বিধায়কের হায়দরাবাদ সফর বাতিল, কী করবেন চম্পই?

রাঁচি বিমানবন্দরের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শেষমেশ বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় হায়দরাবাদ নয়, ফিরতে হচ্ছে রাঁচির সরকারি গেস্ট হাউসেই। সূত্রের খবর, এদিন বিমানে উঠে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও শেষমেশ উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়।

সময় যত গড়াচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) রাজনৈতিক অস্থিরতা পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) গ্রেফতারের পর ২৪ ঘণ্টা পেরনোর পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও এখনও কোনও কিনারা হয়নি। রাজ্যের পরবর্তী এখনও মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পদে কে বসবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শাসকদল, জেএমএম (JMM) -এর তরফে চম্পাই সোরেনের (Champai Soren) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে জানা যায়, ঘোড়া কেনা-বেচার আশঙ্কায় শাসকদলের ৩৮ জোট বিধায়ককে (জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডি) রাঁচি (Ranchi) থেকে চ্যাটার্ড বিমানে হায়দরাবাদে (Hyderabad) উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। রাঁচি সার্কিট হাউস থেকে বিধায়কদের বাসে করে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে আসে। আর সন্ধে থেকে রাত গড়াতেই সামনে এল নয়া নাটক। এবার সরাসরি দৃশ্যমানতা কম থাকার কারণে সেই চ্যাটার্ড বিমানই বাতিল করে দেওয়া হল। রাঁচি বিমানবন্দরের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শেষমেশ বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় হায়দরাবাদ নয়, ফিরতে হচ্ছে রাঁচির সরকারি গেস্ট হাউসেই। সূত্রের খবর, এদিন বিমানে উঠে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও শেষমেশ উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়।

এমন পরিস্থিতিতে জেএমএন নেতা চম্পই বৃহস্পতিবার রাতে ফের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের কয়েক জন বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান। কিন্তু সূত্রের খবর রাজ্যপালের তরফে কোনও আশ্বাস মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের বিধায়কদের দু’টি চার্টার্ড বিমানে কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের রিসর্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হলেও তা থমকে গিয়েছে। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরোনোর সময় চম্পই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচির সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।’’ তবে ‘সরকার সমর্থক’ বাকি চার জন বিধায়ক কোথায়, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।

তবে বিজেপি মুখে কিছু স্বীকার না করলেও লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ঘোড়া কেনাবেচা নিয়ে চরম আশঙ্কায় ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই। বিরোধীদের আশঙ্কা, বিধায়ক কেনাবেচার ‘সময়’ করে দিতেই চম্পইকে নতুন সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাতে দেরি করছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা ঝাড়খণ্ডের বর্তমান রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণ। তবে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে এত তাড়াতাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয় কী না সেদিকে নজর থাকবেই।

 

 

 

Previous articleবঙ্গভবন ‘না পসন্দ’! দিল্লিতে গিয়ে শেষমেশ কোথায় উঠলেন রাজ্যপাল? সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন
Next articleহাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মা নিরূপা দেবী