জল্পনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। মাধ্যমিকের প্রথম দিন সেই জল্পনায় টেনে ছক্কা মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্ষদ দেখিয়ে দিল এবার তাদের সব প্রস্তুতি সারা। এমনকি এরকম প্রস্তুতি থাকলে যে কোনও পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস করে টুকলির সম্ভাবনা ঠেকানো যাবে, তাও প্রমাণ করে দিলো পর্ষদ।
এবছর প্রশ্নপত্রে নতুন কী পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ? প্রতিটি প্রশ্নের আলাদা নম্বর স্থির করা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের প্রত্যেক পাতায় একটি ‘ম্যাজিক নম্বর’ দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাজিক নম্বর আসলে একটি বিশেষ কোড। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী যে ক্রমাঙ্কের প্রশ্নপত্র পাবেন তা তালিকাভুক্ত থাকবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে। ফলে প্রশ্নপত্রের যে কোনও পাতা কোথায় কার কাছে আছে তার বিস্তারিত জমা থাকল পর্ষদের হিসাবে।
এই বিশেষ কোডটি যে কোনও মোবাইলে স্ক্যান করে খোলা সম্ভব না। পর্ষদের বিশেষ সিস্টেমেই এর আনকোডিং সম্ভব। যখনই কোনও প্রশ্নপত্র বা তার কোনও পাতা ঠবি তুলে শেয়ার করা হবে তখনই সেই ছবি থেকে পরীক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া সম্ভব। ছবিতে প্রশ্নপত্রের কিউ আর কোড থাকবে। তা স্ক্যান করে পর্ষদের তালিকার সঙ্গে মেলালেই ধরা পড়বে সেই প্রশ্নপত্র কোথায় গিয়েছে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা মেলালে পরীক্ষার্থীর পরিচয়ও বেরিয়ে যাবে।
এর আগে নিরাপত্তা, কড়া নজরদারি বিভিন্নভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল পর্ষদের তরফে। তবে এবার যে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে তা যে সফল তার প্রমাণ মিলল প্রথমদিন মালদহের দুই ছাত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ধরা পড়ার ঘটনাতেই।