লাল-হলুদ আবেগ: সহ-সভাপতি হয়েই ক্লাবের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলেন রাহুল টোডি

কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে দীর্ঘ ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের কোন ট্রফি ঢুকেছে লাল-হলুদ ক্লাবে। সদ্য সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি।

সহ-সভাপতি হয়েই ঐতিহ্যবাহী ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিলেন শিল্পপতি রাহুল টোডি। সদ্য সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। রাহুল টোডির কাছে ইস্টবেঙ্গল যে আলাদা আবেগ, তা সুপার কাপ জয়ের পরে তাঁর সেলিব্রেশনেই ধরা পড়ে। ট্রফি জয়ী লাল-হলুদ ফুটবলারদের বিমানবন্দর থেকে ক্লাব তাঁবু পর্যন্ত নিয়ে আসেন স্বয়ং সহ-সভাপতি।

কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে দীর্ঘ ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের কোন ট্রফি ঢুকেছে লাল-হলুদ ক্লাবে। সদ্য সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্লাবের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মাতেন রাহুল টোডি। দলের সঙ্গে চিয়ার করতে করতেই বিমানবন্দর থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আসেন তিনি। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললেও দেখা যায় সুপার কাপ হাতে ছবি রয়েছে কভার পিকচারে। ওয়াল জুড়ে ইস্টবেঙ্গলের জয়ের আর উচ্ছ্বাসের ছবি। দলকে অভিনন্দন জানাতে সারা রাস্তা লাইভ করতে করতে বিমানবন্দর থেকে ক্লাব তাঁবুতে ফেরেন রাহুল।

তবে শুধু রাহুল নন, টোডি পরিবারের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে মশালের আবেগ। রাহুলের বাবাও ছিলেন ইস্টবেঙ্গল অন্ত প্রাণ। রাহুল টোডি ক্লাবে যোগ দিতেই আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে লাল-হলুদ শিবির- মানছেন ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাতে দেবব্রত সরকার বলেন, রাহুল টোডি লাল-হলুদে যোগ দেওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে করে দলের চাকা ঘুরছে। বাবার মতোই রাহুলের কাছেও ইস্টবেঙ্গল একটি আবেগের নাম।

শনিবার মেগা ডার্বি। এই ম্যাচ ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। বুক বাঁধছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাও। তাঁদের আশা, সুপার কাপের মতো আইএসএল-এ দ্বিতীয় লেগে দুরন্ত পারফরম্যান্স করবে ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন- ডার্বির আগে হুঙ্কার হাবাসের, বড় ম্যাচে নিয়ে কী বললেন তিনি?

Previous articleঅধ্যাপকের তৎপরতায় ধৃত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস করা পরীক্ষার্থী
Next articleCAG-এর মিথ্যাচার ফাঁ.স করে চিঠিতে কী লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী!