রাতের শহরে অপহরণ, ধাওয়া করে ফিল্মি কায়দায় দুষ্কৃতী ধরল পুলিশ

পুলিশের অনুমান রীতিমত রেইকি করে অপহরণের এই চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। কোন সময় ব্যবসায়ী বারে আসেন। কবরডাঙা এলাকা থেকে গাড়ি কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া করে নিজেরাই চালিয়ে অপহরণের অপারেশন চালায়।

কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টে কলকাতা শহরকে দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার অন্যতম কারণ ছিল অপরাধ নথিভুক্তকরণের সংখ্যা ও অপরাধী ধরার রেকর্ড কলকাতা পুলিশের সবথেকে বেশি। শুক্রবার রাতে সেই রিপোর্টকে আরও একবার সত্যি প্রমাণ করল কলকাতা পুলিশের হরিদেবপুর থানা। ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রীতিমত ধাওয়া করে অপহৃতকে উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল পুলিশ।

শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ কবরডাঙা থানা এলাকার একটি বারে ঢোকে পাঁচ দুষ্কৃতী। দোতলা বারে অন্যদিনের মতো ছিলেন আজাদগড়ে বাসিন্দা ব্যবসায়ী নিতিন শাহ। তাঁকে বন্দুকের মুখে ধরে জোর করে নিচে নিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। সেখানে একটি সাদা গাড়িতে তাঁকে তোলা হয়। ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা। নিতিনের দুই বন্ধু আটকানোর চেষ্টা করলেও বন্দুকের সামনে তারা পিছিয়ে আসে। গোটা ঘটনার ছবি ওই বিল্ডিংয়ের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। ১০.৪০ নাগাদ হরিদেবপুর থানায় অপহরণের ঘটনা জানিয়ে ফোন যায়।

ফোন পেয়েই অপারেশনে নামে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তিনটি গাড়ি নিয়ে তিন দিক থেকে শুরু হয় তল্লাশি। কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়িটি ধরে ফেলে পুলিশ। দুই দুষ্কৃতী পালাতে সক্ষম হলেও তিনজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতরা হল বিপ্লব পাত্র ওরফে ভিক্টর, অশোক মাজি ও অরুনাংশু দাস। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশের অনুমান রীতিমত রেইকি করে অপহরণের এই চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। কোন সময় ব্যবসায়ী বারে আসেন। কবরডাঙা এলাকা থেকে গাড়ি কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া করে নিজেরাই চালিয়ে অপহরণের অপারেশন চালায়। যদিও হরিদেবপুর পুলিশ গোটা প্রচেষ্টাতেই জল ঢেলে দেয়। এই ঘটনাই আবার প্রমাণ করল শহরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে সদা সজাগ কলকাতা পুলিশ।

Previous articleভারতরত্নে সম্মানিত হচ্ছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
Next articleআজ বড় ম্যাচ, বাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে সতর্ক লাল-হলুদ কোচ