‘ভারতরত্ন’ সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে নবতিপর বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ্যে আনেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘোষণার পর আবেগপ্রবণ আডবাণীর ছবি ধরা পড়ল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। ভারতরত্ন প্রাপকের নাম প্রকাশ্যে আসার পর আডবাণীর বাড়ির সামনে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যম। তাঁদের সামনে এসে সকলকে করজোড়ে নমস্কার করেন একদা বিজেপির ‘লৌহমানব’। তাঁর মুখে লেগে ছিল স্মিত হাসি। তাঁর পাশে দেখা যায় আডবাণী পরিবারের সদস্যদের।

শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এলকে আডবাণীজিকে ভারতরত্নে সম্মানিত করা হবে। আমি ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছি।” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করির মতো প্রথম সারির রাজনীতিবিদরা অভিনন্দন জানান আডবাণীজিকে। রাজনাথ সিং লেখেন, “আমাদের সকলের প্রেরণা, দেশের বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবাণীকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত আনন্দ ও খুশি বয়ে এনেছে। রাজনীতিতে তিনি পবিত্রতা, নিষ্ঠা ও সংকল্পের প্রতীক।”

#WATCH | Delhi | Government of India announces Bharat Ratna for veteran BJP leader Lal Krishna Advani.
Visuals from his residence as he greets the people and media here. pic.twitter.com/C0NLemHsZ2
— ANI (@ANI) February 3, 2024
অবশ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ভারতরত্নে অন্য অঙ্ক দেখছে রাজনৈতিক মহল। একদা বিজেপির উত্থানের পিছনে অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন আডবাণী। অবশ্য নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রীতিমতো সাইড লাইনে চলে যান এই লৌহপুরুষ। জানা যায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। যে রামমন্দির উদ্বোধন করে বাহবা নিচ্ছেন মোদি। একটা সময়ে সেই রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন আডবাণী। তাঁর নেতৃত্বে রথযাত্রার মধ্যে দিয়েই অযোধ্যায় রামমন্দিরের আন্দোলনের প্রকৃত সূচনা। অথচ মন্দির উদ্বোধনে ব্রাত্য করা হয় তাঁকে। বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেনি বিজেপির একাংশ। এই অবস্থায় আডবাণীকে ভারতরত্ন দিয়ে মোদি বোঝাতে চাইছেন বিজেপিতে ঐক্য অটুট। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
