রাজ্যের আশ্বাস সত্ত্বেও আইনি জটে প্রাথমিকে নিয়োগ! আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা

তবে সরকারের তরফে একাধিকবার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে সওয়াল এবং তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে দেখা গিয়েছে।

রাজ্য সরকারের (Govt of West Bengal) তরফে বারবার আশ্বাস দিলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে বিরোধীদের প্ররোচনায় নিয়োগের দাবিতে লাগাতার রাজ্যকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চাকরিপ্রার্থীদের। যদিও প্রথম থেকে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যথেষ্ট মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আইনি পথে হেঁটে যতটা যেমনভাবে সম্ভব নিয়োগের চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে নিয়োগের বেশিরভাগ মামলাই এখন হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) বিচারাধীন। সেকারণেই সেসব মামলার নিষ্পত্তি না হলে নিয়োগের জট যে কাটবে না, তা স্পষ্ট। তবুও পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বিরোধীদের লাগাতার মিথ্যা প্ররোচনায় বাংলাকে স্তব্ধ করার চেষ্টা। তার জন্য একের পর এক ফন্দি ফিকির বের করলেও আখেরে বড় কোনও সমাধানসূত্র মিলবে কী না তা সময়ই বলবে। তবে সরকারের তরফে একাধিকবার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের (Job Candidates) পক্ষে সওয়াল এবং তাঁদের নিয়োগের ব্যবস্থা করতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ মিলেছে অনেকেরই। এতেও শান্তি নেই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের লক্ষ্য একটাই যেভাবেই হোক বিরোধীদের দেখানো পথে রাজ্যের সমালোচনা করা। তবে যে এক্তিয়ার রাজ্যের হাতে নেই, সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন ঠিক কতখানি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

রবিবার ডায়মণ্ড হারবারের ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে প্যানেলে থাকা ১৮৩৪ জনকে নিয়োগ করতেই হবে। আর সেকারণেই এদিন নিয়োগের দাবিতে সাদা থান পরে, মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও পৌঁছে যান চাকরিপ্রার্থীরা। সুপারিশ পত্র পেলেও তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ায় স্থগিতাদেশ রয়েছে আদলতের। তাই নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত যাতে এই বিষয়টি দেখা হয় সেই আবেদন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাজির হন তাঁরা। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে সেখানকার পুলিশদের হাতে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার আগে চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর বাসভবনের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

মুলত আইনী জটিলতায় আটকে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ। দ্রুত সেই মামলার নিস্পত্তির জন্য যাতে দ্রুত হলফনামা জমা দেয় রাজ্য সেকারণেই এদিন ডেপুটেশন দিতে আসেন চাকরিপ্রার্থীরা।

Previous articleবঙ্গতনয়ের বিশ্ব কীর্তি, প্রথম বাঙালি অভিনেতা হিসেবে বুর্জ খলিফায় যিশু সেনগুপ্ত!
Next articleসিপিএম জমানার দায় নেবে না বর্তমান সরকার, ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা তৃণমূলের