এবার তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করল নেতৃত্ব। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্র ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যাচার করে বলছে, রাজ্য সরকার ইউটিলাইজেশন পেপার দেননি। ২০০২-০৩ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে সিপিএম এ রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। সেই সময়ের দায় নেবে না তৃণমূল সরকার। রাজ্য সরকার সঠিক রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই পরেরবারের টাকা এসেছে।
কুণাল ঘোষের সংযোজন, ‘মা মাটি মানুষের সরকার তারা কেন্দ্রের টাকা যেখানে ব্যবহার হয়েছে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। কোনও কিছু পেন্ডিং নেই’। তাঁর অভিযোগ, ক্যাগ ২০০২-০৩ টাকেও ইনক্লুড করছে, যাতে বিরোধীরা কুৎসা করতে পারে। তাঁর দাবি, বাম জমানার দায় তৃণমূল কংগ্রেস নেবে না।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে রয়েছে তাদের ভুড়ি ভুড়ি ইউটুলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া বাকি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপির কথায় রাজনৈতিক দলিল তৈরি করে দেওয়া থেকে বিরত থাকবে ক্যাগ।
রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বড় ঘোষণা করেছেন। ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডার ২১ লাখ মানুষের বকেয়া ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মিটিয়ে দেবে। এ নিয়ে
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, ‘এই টাকাটা রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথাই নয়। সবটা দায়িত্ব কেন্দ্রের। রাজনৈতিক কারণে দিচ্ছে না। একাধিক চিঠি দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাকা কী ভাবে দেওয়া যায়’।
সারা বাংলায় বিজেপির বহু নেতা, কর্মী অসৎ সঙ্গ ছেড়ে অন্য তৃণমূলে আসছেন। বাবুল সুপ্রিয় এসেছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা এসেছেন অসৎ সঙ্গ ছেড়ে।
সাংবাদিক সম্মেলনে, রাজ্যসভায় সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘গতকাল, বাংলার সরকার ২১ লাখ শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গতকালের এই ঘোষণা আগামী বছরগুলিতে ভারতের ফেডারেল দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে বঞ্চিত করছে কারণ তারা রাজনৈতিকভাবে রাজ্যের বিরোধিতা করে’।