১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজন সহ রাজ্যের ন্যায্য বকেয়া মেটায়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। যা নিয়ে বার বার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। কলকাতার রেড রোডে ধরনা দিয়েছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথে হেঁটেই রাজধানী দিল্লির বুকে ধর্নায় বসছেন বাম শাসিত কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

আাগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ধর্না দেবেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন তাঁর দলের বিধায়ক ও সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও। কেরালার অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির সরকার নয়। তাই কেন্দ্রের তরফে যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা তার যদি শতাংশের হিসেবে করা যায় তাহলে ১ শতাংশেরও নীচে তাঁরা ফান্ড পেয়েছেন। সেই জায়গায় উত্তর প্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্য যথাক্রমে ১৮.২ শতাংশ ও ১০.৬ শতাংশ ফান্ড পেয়ে গিয়েছেন। প্রায় একই অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পিনারাই বিজয়ন তাঁর ধর্না কর্মসূচি করছেন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। তিনি তাঁর বিধায়ক ও সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন যন্তরমন্তরে ধর্নায় যোগ দিতে। সূত্রের খবর, পিনারাই বিজয়নের তরফে ইতিমধ্যেই এনিয়ে চিঠি গিয়েছে সব অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে। সেক্ষেত্রে কোন কোনও মুখ্যমন্ত্রী ওই চিঠি পেলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ওই ধর্না নিয়ে তৃণমূলের তরফে বক্তব্য, গত ২ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন রাজ্যের পাওনা থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজানার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তৃণমূল যখন ওই কথা বলেছিল তখন বঙ্গ সিপিএম ও বঙ্গ কংগ্রেস বিজেপির দালালি করতে এতটাই ব্যাস্ত ছিল যে এরা বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছিল। মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীর কাছে জানতে ইচ্ছে করে, এরাজ্য নাকি দুর্নীতি হয়েছে বলে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাহলে কেরালার বিয়য়ন সরকারও কি দুর্নীতি করেছে বলেই কি তার টাকাও আটকে রাখা হয়েছে?

আরও পড়ুন- তুষারপাতে আটকে পড়া অন্তঃস.ত্ত্বাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন জওয়ানরা
