নৃশংস! মেয়ে হওয়ার শাস্তি, সদ্যোজাতকে দেওয়ালে ছুড়ে খুন বাবা-মায়ের

হাড়হিম করা কাণ্ড মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। মাত্র চার মাসের একরত্তি মেয়েকে আছাড় মেরে খুনের অভিযোগ উঠল নিজেরই বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শিশুটির সবচেয়ে বড় অপরাধ সে মেয়ে। সেকারণেই মা-বাবার রোষের মুখে পড়তে হল তাকে। ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভাতশালার রিন্টু শেখ কাজ করে কেরলে। মাস তিনেক আগে সে তার তৃতীয় কন্যাসন্তান জন্মের খবর পায়। সপ্তাহখানেক আগে গ্রামে ফেরে ওই পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, ফের মেয়ে হওয়ায় স্ত্রীকে উঠতে-বসতে খোঁটা দিচ্ছিল সে। এরই মধ্যে রবিবার তিন মাসের শিশুটির দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ডোমকল থানার পুলিশের দাবি, প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। এরপর রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে শুধু তিন মাসের কন্যাসন্তানকে আছাড় মেরে ‘খুন’ করাই প্রথম নয়। এর আগে দ্বিতীয় মেয়েকেও খুন করার চেষ্টা করেছিলেন ডোমকলের ধৃত দম্পতি। বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলেন বড় মেয়েকেও। দম্পতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসছে।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভাতশালার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম খাদিজা খাতুন (৪)। জানা গিয়েছে, রিন্টু মণ্ডল ও বেলুয়ারা বিবির এর আগে দুটি কন্যা সন্তান হয়েছিল। পুত্রের আশায় আরও একটি সন্তান নেন খাদিজা। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। এবারও একটি কন্যার জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, সেই কারণেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন তাঁরা। এরপর রবিবার সকালে চার মাসের বাচ্চাটিকে দেওয়ালে ছুড়ে মারে রিন্টু এবং বেলুয়ারা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরের মধ্যেই শিশুটিকে রেখে দেন তাঁরা। এরপর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় খাদিজার।

পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে তিন মাসের শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বাড়ির লোকজন দেখেন, ঘরে লেপের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সে। রিন্টুর বাবার অভিযোগ, তৃতীয় বার মেয়ে হওয়ার পর থেকে ছেলে-বৌমার ঝামেলা লেগেই থাকত। ছেলে নিয়মিত নেশা করে। ছেলেই ছোট নাতনিকে খুন করেছে। পুত্রবধূ সব জেনেও ওকে আড়াল করছে।

 

 

 

 

Previous articleথানায় আত্মঘাতী হামলা, নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে মৃত ১০ পুলিশ কর্মী
Next articleবিশ্বকাপের পর টেস্ট ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স রাচিন রবীন্দ্রর, গড়লেন নজিড়