শুভেন্দুর চক্রান্তেই অতিসক্রিয় ইডি-সিবিআই, বিস্ফোরক শশী; ক্যাগ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ চন্দ্রিমার

বিজেপি আবার প্রমাণ করল, ইডি- সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক নির্দেশ রয়েছে। শুভেন্দু কলকাঠি নেড়ে এসেছে দিল্লি গিয়ে

মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জেলায় জেলায় হানা দিয়েছে। যা নিয়ে বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে গিয়ে কলকাঠি নাড়ার পর ইডির এই অতিসক্রিয়তা। শশীর কথায়,”বোঝাই যাচ্ছে কার নির্দেশে এই হানা হয়েছে। ক্রনোলজিটা বুঝতে হবে, শুভেন্দু সোমবার দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবার বাড়ি বাড়ি ইডি পৌঁছে যাচ্ছে। বিজেপি আবার প্রমাণ করল, ইডি- সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তার পিছনে রাজনৈতিক নির্দেশ রয়েছে। শুভেন্দু কলকাঠি নেড়ে এসেছে দিল্লি গিয়ে।”

অন্যদিকে, ১০০দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন শশী পাঁজা। তিনি বলেন, “২০২১ সালে সংসদে আমাদের সাংসদদের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখিত জবাব দিয়েছিলেন, সেই সময় বাংলায় ভুয়ো জব কার্ডের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬০০, কিন্তু ওদিকে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে লক্ষাধিক ভুয়ো জব কার্ড বেরিয়েছে। ওখানে কি টাকা বন্ধ হয়েছে? বাংলার মানুষ কেন টাকা পাচ্ছে না? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে বিজেপি কোনঠাসা করতে চাইছে বাংলাকে। জব কার্ড ভেরিফিকেশনে বাংলা দারুণ কাজ করেছে। ৯৯.৯৭ শতাংশ কাজ হয়েছে, আর উত্তরপ্রদেশে ৮২ শতাংশ, গুজরাটে ৫৩ শতাংশ। কিন্তু ওখানে টাকা বন্ধ হয়নি, ১০০ দিনের কাজে ও জব কার্ড ভেরিফিকেশনে মিথ্যা ত্রুটি দেখিয়ে বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে মোদি সরকার।”

শশীর সংযোজন, “বাংলার ২১ লক্ষ বঞ্চিত মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ দিদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। বিজেপি এসব শুনেই পাগল হয়ে গেছে। তাই নজর ঘোরাতে ফোনেই অভিযান, শুধু শুধু বাংলার মানুষকে হেনস্থা।”

এদিকে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ক্যাগ নিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “বিধানসভায় ক্যাগ নিয়ে আলোচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য চক্রান্ত, এসব বিজেপির বুজরুকি, বিধানসভায় নাটক। কিন্তু এসব বলে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না। যাদের টাকা আটকেছে, তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মেয়েরা, টাকা না দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। ধর্ষণকারীদের ভাড়া করে আইটি সেল চালায় বিজেপি, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ছাড়া হল কেন? জবাব দিক বিজেপি।”

তাঁর সংযোজন, “দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করছে বিজেপি, এটা কি নারী শক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করা হল? এখন ভোটের প্রয়োজনে নারী শক্তিকে সম্মানের কথা মনে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কী করেছে সেটা মানুষ জানে, বাংলার দিকে আঙুল না তুলে আগে টাকাগুলো দিন। ২০২১ সালে ২০০ আসন চেয়ে ৭৭ পেয়েছিল, এবার ৪০০ চেয়ে ফুস হয়ে যাবে।”

Previous articleকেন মুম্বইয়ের নেতৃত্ব থেকে সরানো হল রোহিতকে? মুখ খুললেন MI কোচ
Next articleদিল্লি থেকে ফিরে কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে অভিষেক