বিজেপি মহিলাদের সম্মান দেয় না, ঐতিহাসিক বাজেটের পর শুভেন্দুরা দিশাহীন: কুণাল

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক বাজেটটি পেশ করেছেন। এই বাজেট বাংলার মহিলাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্মান প্রদানে অনন্য জায়গায় নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বিজেপি মহিলাদের সম্মান দেয় না তাই বিজেপি এবং বিরোধীরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছে। তারা সমালোচনা করার কোনও জায়গা পাচ্ছে না। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এভাবেই কুৎসাকারীদের আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুধু তাই নয়, বাজেট পেশের দিন বিজেপির তরফে যেভাবে জাতীয় সঙ্গীত এবং রাজ্য সঙ্গীতকে অপমান করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেন কুণাল।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণাল ঘোষ বলেন, “এই বাজেট বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট। কিন্তু এই বাজেট নিয়ে বিজেপির আপত্তির কারণ ওরা ভয় পেয়েছে। মহিলা শক্তি, সম্মান, ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির বাজেট নিয়েও আপত্তি বিজেপির। এই লক্ষ্মীর ভান্ডারকেই তো বিজেপি অন্য রাজ্যে নকল করেছে। মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক, শ্রমিক, মৎসজীবী সকলেই এই বাজেটে উপকৃত, সেই কারণেই কুৎসা করছে শুভেন্দু ও বিজেপি। এই বাজেটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও ভালবাসবেন মানুষ। তৃণমূলের আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষের মন তৃণমূলের দিকে, সেটা দেখে ভয় পেয়ে দিশাহীন হয়ে গিয়েছে বিজেপি।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “তারা সমালোচনা করার কোনও জায়গা পাচ্ছে না। ওদের কারণেই বাংলার কেন্দ্রের বঞ্চনা। তার সঙ্গে গতকাল যেভাবে জাতীয় সঙ্গীত এবং রাজ্য সঙ্গীতকে অপমান করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যারা কুৎসা করছেন, তাদের ক্ষমতা হবে তো এই প্রকল্পের সুবিধাগুলো না নেওয়ার? বিরোধীতা, কুৎসা করার আগে সেটা খোলসা করে বলুন। তারা বলুন আমরা টাকা নেবো না। ক্ষমতা হবে তো এটা বলার?

এছাড়াও এই বাজেটকে বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে এর কারণ ব্যাখ্যা করে কুণাল বলেন, “একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা। অন্যদিকে, বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো, পরিষেবা ও সংস্কার, এই তিনটি দিকেই উন্নয়নের গতি বজায় রেখে বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট। কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, প্রতিহিংসাকে দূরে রেখে পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের ঘোষণার পাশাপাশি পরিষেবায় আরও জোর। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানো থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধি, গ্রুপ ডি, মৎসজীবী, তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষ সুবিধা উজাড় করে দেওয়ার এই বাজেট কার্যত জনমুখী সংস্কার। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পরেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleঅগ্নিগর্ভ উত্তরাখণ্ড, হালদয়ানি জুড়ে জারি কারফিউ!
Next articleবিমানে বসেই রেলমন্ত্রীকে ন্যাপকিনে লিখে প্রকল্পের প্রস্তাব কলকাতার ব্যবসায়ীর! মুহূর্তে মিলল সাড়া