প্রথমবার ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতেই ক্যান্সারমুক্তি সফলভাবে সম্ভব হল। একটি বিশেষ কোষ থেরাপির (T-cell therapy) মাধ্যমে ৬ রোগীর শরীর থেকে রক্ত ও বোনম্যারের (bone marrow) ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব হল। পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগ সফল হওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভাবে কার-টি কোষ থেরাপি সাধারণ মানুষের পক্ষে পাওয়া সম্ভব হবে। বিদেশে যে চিকিৎসা করতে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ হত, এবার সেই চিকিৎসাই ভারতে পাওয়া সম্ভব হবে ৪২ লক্ষ টাকায়, দাবি ক্যান্সার চিকিৎসা সংস্থার।

মূলত ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে পারা শ্বেত কণিকার একটি টি-কোষ শরীর থেকে বের করে আনা হয় এই প্রক্রিয়ায়। গবেষণাগারে সেই কোষকে ভাইরাল ভেক্টরের (viral vector) মাধ্যমে অ্যান্টিজেন প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলা হয়। এর ফলে চিমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপটরটি (CAR) ক্যান্সার বহনকারী প্রোটিনকে সহজে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গবেষণাগারে প্রসেসিংয়ের পর সেই টি-কোষ প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীর শরীরে ইনজেক্ট করে দেওয়া হয়।


প্রাথমিকভাবে এই কোষ থেরাপি দ্বারা লিউকিমিয়া, লিম্ফোমা ইত্যাদি বি-কোষের ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্ভব হবে। অ্যাপোলো ক্যান্সার সেন্টারে প্রথমবার ৬ ভারতীয়ের শরীরে এই চিকিৎসা সাফল্যের ইতিহাস তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) এই থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ছাড়পত্র দেয়। এরপরই বম্বে আইআইটি (IITB) ও টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করে।

বর্তমানে দেশের ১০টি শহরের ৩০টি হাসপাতালে এই চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব হবে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাবে এই পদ্ধতিতে। এর আগে বিদেশে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব ছিল। তবে তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। খরচ হত প্রায় ৪ কোটি টাকা। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসায় ভারতীয়দের খরচ হবে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা।

