বিমানে বসেই রেলমন্ত্রীকে ন্যাপকিনে লিখে প্রকল্পের প্রস্তাব কলকাতার ব্যবসায়ীর! মুহূর্তে মিলল সাড়া

রেলমন্ত্রীর (Rail Minister) সঙ্গে বিমানসফর করছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার (Security) কারণে রেলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। তাই বিমানসেবিকার থেকে ন্যাপকিন চেয়ে নিয়ে নিজের প্রস্তাব লিখে অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে পাঠালেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে, সেই চিঠি পেয়েই বিমানবন্দরে অবতরণের ৬ মিনিটের মধ্যেই তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য রেল মন্ত্রকের তরফে ফোন পান তিনি।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে দিল্লি থেকে কলকাতা (Kolksta) ফিরছিলেন অক্ষয় সাতনালিওয়ালা। বিমান ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি দেখতে পান একই বিমানে রয়েছেন ভারতের রেলমন্ত্রী। এরপরই রেল কী ভাবে কঠিন এবং অন্যান্য বর্জ্য পরিবহণের সস্তা মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে সেই নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে অনুরোধ করেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে অক্ষয়ের অনুরোধ রাখা সম্ভব হয়নি। তাই এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে বিমানসেবিকার দেওয়া ন্যাপকিনে নিজের প্রস্তাবের কথা লিখে রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন অক্ষয়। সেখানেই নিজের পরিচয় জানান তিনি। সেই সঙ্গে অক্ষয় লেখেন, “আপনি যদি অনুমতি দেন, তবে রেলওয়ে কী ভাবে সাপ্লাই চেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে পারে, সেই নিয়ে আলোচনা করতে পারি। এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অবদান রাখতে পারে।”

এরপর বিমানবন্দরে নামার ৬ মিনিটের মধ্যেই অক্ষয়ের কাছে একটি ফোন আসে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয়, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর তাঁকে খুঁজছেন। ফোনে অক্ষয়কে জানানো হয়, তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকের সময় দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেই বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন অক্ষয়। পাশাপাশি রেলওয়ে কী ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সহজ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হতে পারে তাও জানিয়েছেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleবিজেপি মহিলাদের সম্মান দেয় না, ঐতিহাসিক বাজেটের পর শুভেন্দুরা দিশাহীন: কুণাল
Next articleদিল্লি আদালতে জামিন রাবড়ি দেবী ও দুই কন্যার, প্রশ্নের মুখে ইডি