প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও চরণ সিং-সহ এবার ভারতরত্ন পেলেন ৫ জন

দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ভারতরত্নের প্রাপক হিসেবে ২ নাম ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুর পাচ্ছেন এই পুরস্কার। এবার এই পুরস্কারের জন্য আরও ৩ নাম ঘোষণা করল কেন্দ্র। এরা হলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও ও চরণ সিং। পাশাপাশি ভারতরত্ন পাচ্ছেন সবুজ বিপ্লবের জনক কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে এই ৩ নাম প্রকাশ্যে আনেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মূলত রাজনৈতিক নেতা হলেও নরসিমা রাও দেশি বিদেশী একাধিক ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, সাহিত্য, ইতিহাস থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে রাওয়ের অবাধ বিচরণের কথা। নয়ের দশকের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও সমস্ত ছুঁৎমার্গ ভুলে ভারতে বাজার অর্থনীতির প্রবেশ ঘটিয়েছিলেন। ভারতের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনিই। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারে তার পর কখনও আর টান পড়েনি। ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা ঘটে, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরসিমা রাও। রামমন্দির নির্মাণে পদক্ষেপের জন্য নরসিমা রাওকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

এছাড়াও এবছর ভারতরত্ন পেয়েছেন আর এক প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং। দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯০২ সালে উত্তরপ্রদেশের মেরুটে জন্ম চরণ সিংয়ের। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৩৭ সালে প্রথমবার বিধানসভার সদস্য হন তিনি। ১৯৫১ সালের জুন মাসে তিনি রাজ্যের পূর্ণ মন্ত্রী নিযুক্ত হন। কংগ্রেস ভাগ হয়ে যাওয়ার পর চরণ সিং ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সমর্থনেই দ্বিতীয়বার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তবে, ওই বছরই ২ অক্টোবর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। পড়াশোনা ও লেখালিখি করতে ভালবাসতেন।

এর পাশাপাশি রাজনীতির বাইরে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এবার ভারতরত্ন পেয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। স্বাধীনতার পরের কয়েক দশক, দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ভারতকে বিদেশের সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হত। কিন্তু, সেই পরিস্থিতির বদল ঘটেছিল গত শতাব্দীর ছয় ও সাতের দশকে। ভারতে ধান ও গমের উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর সেই ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। তাঁকে বলা হত ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল।