মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল নেই। কিন্তু ডুরান্ড ফাইনাল ঘিরে বাংলা জুড়ে হৈচৈ। হবে নাই বা কেন, অভিষেক হওয়া ডায়মন্ডহারবার এফসিকে(DHFC) ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলা। ডুরান্ড ফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের (Northeast United) বিরুদ্ধে নামবে বাংলার এই দল। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। তবে বাংলার দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন সন্তোষ জয়ী বাংলা দলের কোচ সঞ্জস সেনও (Sanjay Sen)।
এবারের ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার এফসি। জামশেদপুর এফসি। এরপরই যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) হারিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে তারা। এই দলকে নিয়ে গোটা বাংলা এখন স্বপ্ন দেখছে। বাংলার দলকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখতে পেলে খুশি হবেন বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনও (Sanjay Sen)।
তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “বাংলার দল ফাইনালে। গোটা বাংলা যে তাদের সাপোর্ট করবে তা কি বলার অপেক্ষা রাখে নাকি। বাংলার ফুটবল প্রেমীরা সকলেই চাইবে যে ডায়মন্ডহারবার এফসি চ্যাম্পিয়ন হোক। আমরা সকলেই যাই যে বাংলার এই দল জিতুক। নতুন একটা দল উঠে আসুক। এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ডহারবারের উঠে আসাটা বাংলার ফুটবলের পক্ষে সত্যিই একটা ভালো দিক”।
এবারের ডায়মন্ডহারবার এফসির (DHFC) খেলা দেখেও কিন্তু বেশ খুশি সঞ্জয় সেন। তাদের দলগত ফুটবলটাই যেন বেশি টানছে সঞ্জয়কে। সেইসঙ্গে তাদের জন্য কিছু পরামর্শও রয়েছে তাঁর।
সঞ্জয় সেন (Sanjay Sen) জানান, “ডায়মন্ডহারবারকে নিয়ে আশাবাদী এই কারণেই যে তারা ভালো ফুটবল খেলার চেষ্টা করছে। তারা একটা দল হিসাবে খেলছেন। যখন কোনও দল ব্যক্তিগত নির্ভরতা ছেড়ে একটা দল হিসাবে খেলে, সেই দলকে হারানোটা কিন্তু সত্যিই কঠিন। ইস্টবেঙ্গলের মতো একটা দলকে যেভাবে ট্যাকটিকালি খেলে হারিয়েছে তা প্রশংসনীয়। কিবু ভিকুনা জানেন কেমনভাবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে গতবার নর্থইস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেইসঙ্গে আলাদিন আজারেকে কেমনভাবে তারা সামাল দেয় সেটাই কিন্তু দেখার। আমরা সবাই আশাবাদী বাংলার দলকে নিয়ে”।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ডিফেন্সে বেশ কিছু জায়গায় দুর্বলতা রয়েছে বলেই মনে করছেন সঞ্জয় সেন। সেটা ডায়মন্ডহারবার কাজে লাগাতে পারলে যে তারা অনেকটাই এগিয়ে যাবে তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই সন্তোষ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেনের।
–
–
–
–
–