প্রশাসনিক ছাড়পত্র দিলেও নদিবাঁধ তৈরিতে রাজ্যের জন্য কোনও বরাদ্দই নেই কেন্দ্রের। একদিকে যখন একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা না দিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলার খেলা জারি কেন্দ্র সরকারের, তখনই অন্যদিকে বাঁধ তৈরি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য অসহযোগিতা করে যাদের মাথায় ছাদ রয়েছে, তাদেরটাও কেড়ে নেওয়ার পথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের উদ্যোগেই নদিবাঁধের কাজ ও সেচের অন্যন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব পদ্ধতিতেই সাফল্যের পথে সেচ দফতর। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানালেন, সেচের কাজে যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে তাতে রাজ্যের বিপুল সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে সেচ দফতর।

সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, ২০২২ থেকে ২০২৪, এই দুই অর্থবর্ষে রাজ্যের কোষাগার থেকে ২,৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে সেচ ও বাঁধ মেরামতি সংক্রান্ত কাজে। মোট ৪,১০০ কোটি টাকার কাজ করেছে এই দফতর, যার মধ্যে বাকি টাকা বিশ্বব্যাঙ্ক বা এই ধরনের সংস্থার আর্থিক সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে। নদীবাঁধ নির্মাণ থেকে শুরু করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের প্রশাসনিক ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেনি তারা। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তবু উদাসীন থেকেছে কেন্দ্র।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ স্বল্প বাজেট ও সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রযুক্তিই ছিল সেচ দফতরের একমাত্র ভরসা। গুণমান বজায় রেখেই নির্দিষ্ট অর্থে বেশি কাজ করাই রাজ্যের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বিশেষ কমিটি গড়ে পরিকাঠামোগত কাজে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে সেচদপ্তর। উপযুক্ত প্রযুক্তির জন্য বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সেচমন্ত্রীর দাবি এভাবে কাজ করে ধার্য বাজেট থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে সেচ দফতর।
