সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

উত্তপ্ত সন্দেশখালি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এলাকার পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে? নবান্নকে পুরো পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিলেন বাংলার রাজ্যপাল। এদিকে সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি। কড়া সুরে বিজেপির এহেন রাজনীতির তীব্র নিন্দা করা হয়েছে শাসকদল তৃণমূলের তরফে।

তৃণমূলের ২ নেতার বিরুক্ষে ক্ষোভের জেরে গত কয়েকদিন ধরে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া হাতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা। যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। শনিবার সকালে বিজেপির তরফে সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। এবং অবিলম্বে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার দাবি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই নবান্নের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

এদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় তৃণমূলের তরফে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উত্তম সর্দারকে। এলাকার মানুষের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ছিল এই উত্তমের বিরুদ্ধে। দলীয় তদন্তের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বহিষ্কার করা হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। পাশাপাশি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপির সুবিধাবাদী রাজনীতির তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে প্ররোচনা দিয়েছে বিরোধীরা। কিছুটা প্ররোচনা ও কিছুটা ক্ষোভে এই গোলমাল ঘটেছে। তবে পুলিশ মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন।” একইসঙ্গে ১৪৪ ধারা প্রাত্যাহারের দাবি করা শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “১৪৪ ধারা কী? শুভেন্দু জানেন না! শুভেন্দু সবে জন্মেছে তো, জীবনে প্রথম ১৪৪ শুনল।” এছাড়া সন্দেশখালিকে নন্দীগ্রামের সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “গুজব রটানো হচ্ছে। একটা জায়গায় কিছু মানুষের ক্ষোভ আছে, তাই এই অশান্তি। তবে পুলিশ কোনও প্ররোচনায় পা দেয়নি। তৃণমূল সংবেদনশীল। কিন্তু বিজেপি চাইছে রোজ গণ্ডগোল হোক। বাম জমানাতে একের পর এক জায়গায় পুলিশের যে ভূমিকা থাকত এখানে তা হয়নি। ওরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলি চালিয়ে দিত। এটা বাম জমানা হলে এতক্ষনে পুলিশ বেপরোয়া মারত, গুলি চালাত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এসব হয় না।”

Previous articleজোড়া বৈঠকে জট কাটল! সম্ভবত ঘাটাল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী দেব
Next articleনদিবাঁধে কেন্দ্রের বঞ্চনা, প্রযুক্তিতে ৩০০কোটি সাশ্রয় রাজ্য সেচদফতরের