পাঞ্জাব-চণ্ডীগড়ে একা লড়াই! লোকসভা ভোটে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় কেজরিওয়াল

কেজরিওয়াল সাফ জানান, পাঞ্জাবের ১৩ আসনেই একা লড়বে আম আদমি পার্টি। চণ্ডীগড়েও একটি আসনে প্রার্থী দেবে আপ।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election) কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, তা আগেই জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Aravind Kejriwal)। শনিবার সেই তত্ত্বেই কার্যত সিলমোহর দিলেন আপ সুপ্রিমো (AAP Supremo)। এদিন কেজরিওয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “পাঞ্জাব (Punjab) এবং চণ্ডীগড়ে (Chandigarh) লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে আপ। ইন্ডিয়া জোটের (INDIA) সঙ্গে কোনওরকম আসন ভাগাভাগি হবে না”। অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, “আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমরা পাঞ্জাবের ১৩টি আসন এবং চণ্ডীগড়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করব। পাঞ্জাবের সব আসনে আপ প্রার্থী দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, আপনারা আমাদের হাত যত শক্ত করবেন ততই মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্যোগী হব আমরা”। তবে কেজরির এমন মনোভাবের পিছনে কংগ্রেস যে আসল ফ্যাক্টর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সময় যত এগোচ্ছে কংগ্রেসের (Congress) ‘খামখেয়ালিপনার’ খেসারত যে বিরোধীদের দিতে হচ্ছে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

শনিবার পাঞ্জাবে ঘর ঘর রেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়েই লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার ঘোষণা করেন আপ সুপ্রিমো। কেজরিওয়াল সাফ জানান, পাঞ্জাবের ১৩ আসনেই একা লড়বে আম আদমি পার্টি। চণ্ডীগড়েও একটি আসনে প্রার্থী দেবে আপ। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিকে নির্বাচিত করার জন্য পাঞ্জাবের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, আজ থেকে ২ বছর আগে আপনারা আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৫২টি আসনেই জয়ী হয়েছি আমরা। এরপরই কেজরিওয়াল উপস্থিত মানুষদের হাত জোড় করে জানান,দুই মাস পর লোকসভা নির্বাচন। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, ২ বছর আগে আমাদের যেমন আশীর্বাদ দিয়েছিলেন, তেমনই এবারও ১৪ আসনেও আশীর্বাদ দিতে হবে।

আগেই কংগ্রেসের গাজোয়ারির জেরে জোট নয়, বাংলার ৪২ আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস যে একা লড়বে তা আগেই জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জোটের শরিক দলগুলি সাফ জানিয়েছিল, যে দল যেখানে শক্তিশালী সেখানে সেই দলকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু সময় গড়ালে রাজনীতিতে লাস্ট বয় হয়ে থাকলেও গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল অবস্থা কংগ্রেসের। আর সেকারণেই ধীরে ধীরে একলা চলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল তবে সিপিএমের জন্যই যাবতীয় সমস্যা হয়েছে। এরপরই কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “লোকসভায় ৪০-এর বেশি আসন পাবে না। তবে এদিন কেজরিওয়ালের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি কংগ্রেসকেই একহাত নিয়ে বলেন, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার কোনও অর্থ নেই। ওঁর উচিত ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা না করে এবার দেশে ইন্ডিয়া জোট জোড়ো যাত্রা করা। সবদিক থেকেই ওঁরা বিভ্রান্ত”।

Previous articleঅভিষেক ম্যাচে গোল ফেলিসিওর, নর্থইস্টের কাছে ৩-২ গোলে হার লাল-হলুদের
Next articleবাংলায় জোট ভাঙার জন্য দায়ী কংগ্রেস, লোকসভায় আসন বাড়বে তৃণমূলের: প্রত্যয়ী অভিষেক