রায়গঞ্জে একই ঘর থেকে দুই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, আটক ১

একই ঘর থেকে রহস্যজনকভাবে দুই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জে (Raigaunge)। শনিবার সকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে রায়গঞ্জের নিউ উকিলপাড়া এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রায়গঞ্জের সৎসঙ্গ গার্লস স্কুল সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন তপন দে (Tapan Dey) নামে এক ব্যক্তি। মেয়ে তানিয়া দে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Exam)। শনিবার সকালে মাধ্যমিকের শেষ পরীক্ষা দিতে সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তানিয়া। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেও বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন তপন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্থানীয়রা এসে দেখেন, ঘরের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তিনি। পাশে রয়েছে আরও এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। কিন্তু আচমকা কীভাবে দুজনের মৃত্যু হল? তপন দে ছাড়া অপরজনের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কান্তনগর এলাকা থেকে রতন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকাবাসীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপর রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তপন দে ও অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে জোড়া মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তপন দে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। কিন্তু কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা স্থানীয়দের পাশাপাশি বুঝে উঠতে পারছে না পুলিশও। এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে এসে বাবার এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ে তানিয়া। পরে পুলিশকে সে জানায়, সম্প্রতি টাকা পয়সা নিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে এলাকার বেশকিছু মানুষের গণ্ডগোল চলছিল। রতনও তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন। মেয়ে তানিয়ার থেকে সেই খবর শুনেই কান্তনগর নিবাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে আচমকা কীভাবে একই বাড়ি থেকে দুজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আদৌ দুর্ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে কী না তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।