একটা সময় সরস্বতী পুজো মানেই কচিকাচাদের নিজে হাতে প্যান্ডেল তৈরি, ঠাকুর আনা থেকে গোটা পুজো সাজানোর আনন্দ ছিল। পাড়ায় পাড়ায় কার পুজো কত সুন্দর – তার প্রতিযোগিতা ছিল। এখন সরস্বতী পুজোটাও অনেকটাই প্রাতিষ্ঠানিক আর বাড়ির পুজোয় চলে গিয়েছে। তবে সরস্বতী পুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার মজা আজও একই রকম রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। কারণ এই একটা দিন কেউ তাদের পড়তে বসতে বলে না। আর সেই পরিক্রমায় বেরোনো স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বাহারি থিমের প্যান্ডেল তৈরির প্রতিযোগিতায় নামে হাতে গোনা প্রতিষ্ঠান।
হুগলির গোঘাটের বীণাপানি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো এবছর পা দিল ১৩ বছরে। প্রতিবারই তারা নানা থিমের সরস্বতী পুজোর আয়োজন করে। এবছর তাদের থিম পুরোনো বাড়ির ঠাকুর দালান। ক্লাবের সদস্যরা জানান, এ বছর সদস্যরা মিলে পুরাতন ঠাকুরদালাল বাড়ির করা চিন্তা-ভাবনা করেছেন। তাদের ভাবনার কারণ হল তৎকালীন সময়ের এই পুরোনো বাড়িগুলো হারাতে বসেছে। তাই সেই সমস্ত পুরোনো জিনিসগুলো ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ।
এবছর সরস্বতী পুজো আবার ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন্স ডে। এমনিতেই সরস্বতী পুজো মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন্স ডে। দুটো দিন একসঙ্গে হওয়ায় কিশোর কিশোরীদের পোয়া বারো। আরামবাগ মহকুমার পথঘাট এ দিন প্রেমের হাওয়ায় মেতে ছিল। ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ যতই হুজুগে মাতিয়ে দিক না কেন, বাঙালির চিরাচরিত ‘প্রেম দিবসের’ মেজাজ বদলাতে নারাজ নতুন প্রজন্মও। তাই সকাল-সকাল অঞ্জলি দিয়ে পথে নেমে পড়েছিল কিশোর-কিশোরী থেকে সদ্য তরুণ-তরুণীরা।