রাশিয়ার অন্যতম বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে প্রকাশ্যে চলে এল রাশিয়া-আমেরিকার দ্বন্দ্ব। বিতর্ক উস্কে পুতিনকে নাভালনির মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সেনেটে বক্তব্য রাখলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (Joe Biden)। নাভালনির পরিণতির কথা তুলে ধরে পুতিনের নৃশংসতার উদাহরণ দেন তিনি।

শুক্রবার রাশিয়া প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয় আর্কটিক জেলে মৃত্যু হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। রাশিয়ার তরফে এই ঘটনায় কোনও অস্বাভাবিকতা না থাকার দাবি করা হলেও নাভালনির অনুগামীরা পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। সেই সঙ্গে সরব হয় ইউরোপের দেশনায়করা। এবার সেই নিন্দার তালিকায় নাম উঠল আমেরিকার।
রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন নাভালনির কর্মী ও অনুগামী যাঁরা পুতিনের দাগিয়ে দেওয়া শত্রুর তকমা নিয়েও নাভালনির স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। নাভালনির স্বপ্ন ছিল উন্নত রাশিয়া তৈরি করা, যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। তাঁর সাহসিকতা কখনই ভোলার নয়। তাঁর নৈতিকতা ছিল। তাঁর মধ্যে এমন অনেক গুণ ছিল যা পুতিনের মধ্যে নেই। তাঁর মৃত্যুর খবরে আমি একটুও বিস্মিত বা উত্তক্ত হয়নি। কারণ এই দুঃখজনক ঘটনা বর্তমান পরিস্থিতিকে আবার স্মরণ করাচ্ছে, যেখানে পুতিনের নৃশংসতা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে।

এর পাশাপাশি নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ী করে তিনি লেখেন, যদি এই মৃত্যুর খবর সত্যি হয় তবে রাশিয়ার প্রশাসন নিজেদের মতো কিছু গল্প বের করবে। কিন্তু কোনও ভুল করবেন না। আসলে পুতিনই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী।

If reports of Aleksey Navalny's death are true, Russian authorities will tell their own story.
But make no mistake.
Putin is responsible for this death.
— President Biden (@POTUS) February 16, 2024
ইতিমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আর্থিকভাবে আমেরিকার সাহায্য করা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে বাইডেন। তবে নাভালনির মৃত্যুতে সেই ইস্যুকেও আবার চাঙ্গা করলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। তাঁর দাবি, যে নৃশংসতার শিকার নাভালনিকে হতে হয়েছে তেমনই চলছে ইউক্রেনের ওপরও। তাই পুতিনের অমানুষিক নৃশংসতার সামনে ইউক্রেনের বাসিন্দাদের অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, তার জন্য ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্যের সুপারিশ করেন তিনি।
