এ যেন ঠিক শোলের (Sholay) রিমেক! সিনেমায় বাসন্তীকে নিজের ভালোবাসার কথা জানাতে ট্যাঙ্কে চড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। যদিও সেটা নাটকীয় হলেও এই ঘটনা কিন্তু একেবারেই সাজানো নয়। কিন্তু মদ খাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে একেবারে ১২০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারে (Mobile Tower) চড়ে বসলেন মত্ত এক ব্যক্তি! শনিবার বিকেলের ঘটনায় রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে যায় বাঁকুড়ার (Bankura) আমরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাত্রগাতি গ্রামে। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় প্রচুর মানুষ ওই জায়গায় ভিড় জমান। খবর দেওয়া হয় ইন্দাস থানা ও দমকলে। পরে পুলিশ ও দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। তবে ওই যুবক কারও কথায় কর্ণপাত না করেই মোবাইল টাওয়ারের মাথায় বসেছিলেন বলে অভিযোগ। যার জেরে তাঁকে নীচে নামাতে এরপর ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। এরপর টানা ৭ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে টাওয়ার থেকে নীচে নামানো হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মত্ত যুবকের নাম শ্রীমন্ত মাঝি (২৮), পেশায় ক্ষেতমজুর। তাঁর স্ত্রী মিঠু মাঝি জানিয়েছেন, স্বামী প্রতিদিনই আকণ্ঠ মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। রোজগারের বেশিরভাগ টাকা মদেই শেষ করে দিত। এই নিয়ে প্রতিদিন সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকত। এদিকে শনিবার গ্রামে এক সাপুড়ে এলে তাঁকে বিশ্বাস করে সব কথা খুলে বলেন মিঠু। দোষ কাটাতে সাপুড়ে মিঠুকে কিছু কবচ-মাদুলি দেন। বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পেরেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন শ্রীমন্ত। এরপরই দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে থাকা মোবাইলের টাওয়ারে উঠে পড়েন। টানা ৭ ঘণ্টা সেখানেই বসেছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টাওয়ারের নীচের অংশ ব্যারিকেডে ঘেরা। তা টপকেই ব্যক্তি ভেতরে ঢুকেছিলেন। এদিন গভীর রাতে ওই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসা করানোর পর তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেন প্রশাসনের কর্তারা।
