রাজ্য রাজনীতি থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিরোধীদের সাম্প্রতিককালে সম্পূর্ণ নজরটাই গিয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণার সন্দেশখালিতে। কখনও ১৪৪ ধারা ভেঙে, কখনও পুলিশের সঙ্গে জোর খাটিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস তিন বিরোধীদলই। আদতে সন্দেশখালির ছবিটা কী? গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রায় একইরকম তথ্য পেয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রতিনিধিদল। পুলিশ নজরদারি থেকে গ্রেফতারি, সবই চালিয়েছে। আদালত রায় শুনিয়েছে। তারপরেও কেন রাজনীতির কেন্দ্রে সেই সন্দেশখালি? গ্রামবাসীদের দাবি বিরোধীদের কোনও ‘প্ল্যান’ রয়েছে সন্দেশখালি নিয়ে। তাই নাটকের মতো সাজানো সংলাপ আওড়ে, ফুলে ফেঁপে উঠছে সন্দেশখালির রাজনীতি।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের অনেক ভিডিও এখন ভাইরাল। সেভাবেই ভাইরাল হয়েছে একটি তরুণীর বক্তব্যের ভিডিও। যেখানে সে দাবি করছে সন্দেশখালি নিয়ে যে ধরনের অত্যাচারের প্রচার চালানো হচ্ছে তা একেবারেই মিথ্যা। রাজনৈতিক দলগুলির এই প্রচার চালানোর পিছনে তাদের কোনও পরিকল্পনা আছে বলে দাবি ভিডিও-তে। পাশাপাশি এলাকায় অশান্তি বাধানোর জন্য বিজেপিকেই দায়ী করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি বিজেপির কোনও চাল এলাকায় অশান্তি বাধানো।
যে নারী নির্যাতনের অভিযোগকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরোধীরা সন্দেশখালি থেকে দিল্লি পর্যন্ত হৈ হট্টগোল চালিয়ে যাচ্ছেন সেই অভিযোগকেই উড়িয়ে দিচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাইরাল ভিডিওতে এক তরুণী দাবি করছেন সন্দেশখালির মেয়েদের সঙ্গে এধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ভিডিওতে দাবি, অভিযোগের তিরে থাকা শেখ শাহজাহান এধরনের মানুষই নন। এধরনের অভিযোগ মিথ্যা। পাশাপাশি গরীব মানুষের ওপর অত্যাচারের মত ঘটনাও সন্দেশখালিতে ঘটে না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও দাবি করছে।
পাশাপাশি এলাকার মহিলাদের আরও দাবি, কিছু মহিলাকে ভাড়া করে এনে তাদের মুখ ঢেকে দিয়ে নানা অভিযোগ করাচ্ছে বিরোধীরা। বদলে সন্দেশখালিতে রাজনৈতিকভাবে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। বাস্তবে এভাবে মিথ্যা প্রচারে স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ক্ষতি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তাঁরা। রীতিমত ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালির একাংশ। সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান রক্ষায় রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন তাঁরা।