দিন দুয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতদের বকেয়া মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। ১ মার্চ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে সেই অর্থ। সেইমতো শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য রাজ্য জুড়ে শিবির শুরু হয়েছে সরকারের তরফে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে এমনই একটি ক্যাম্পে সোমবার হামলা চালায় বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয় ক্যাম্প। মহিলাদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে গর্জে ওঠেন। বিজেপিকে ‘জমিদার’ বলে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন,দিল্লির জমিদাররা এবং তাদের একাংশ বাংলার মানুষকে চিরকালের বঞ্চনার শিকার করতে অনড়। এই জমিদারদের ১০ বছরের ক্রমাগত অন্যায় , যন্ত্রণার জবাব দিতে তাদের পাঠ শেখানোর সময় এসেছে এবার।

কেন্দ্রীয় বকেয়া থেকে বঞ্চিত শ্রমিকদের স্বস্তি দিতে নন্দীগ্রামে নাম নথিভুক্তিকরণের শিবির শুরু হয়েছে ১৮ তারিখ থেকে, চলবে ২১ তারিখ পর্যন্ত। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই শ্রমিকের সংখ্যা ২৪০০। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে এই শিবিরগুলিতে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে এমনই একটি শিবির চলছিল। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে গোকুলনগরের সেই ক্যাম্পে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যখন এই হামলা চালানো হয়, তখন ক্যাম্পে ফর্ম পূরণের কাজ চলছিল। কিন্তু হামলার জেরে সেসব কাজ হয়ে যায়। অভিযোগ, মারধর করা হয় শিবিরে থাকা তৃণমূলের মহিলা সদস্যদেরও। যারা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তারা পাল্টা প্রতিরোধ করেন। তবে ততক্ষণে ক্যাম্পটি কার্যত ভেঙে পড়েছে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ,গোকুলনগরের ক্যাম্পে পঞ্চায়েত সদস্য নিবেদিতা ভুঁইঞাকে বিজেপির গুন্ডারা শিবিরে হামলা চালিয়ে মারধর করে। তার শাড়ি ধরে টেনেছে। তার আঘাত লেগেছে। বিজেপি চায় না যে ওই টাকা পাক বঞ্চিত শ্রমিকরা। তাই এই হামলা হচ্ছে। সেখানকার মানুষজনের প্রতিরোধে দুষ্কৃতীরা পিছু হঠে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।
