চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে ‘কারচুপি’, আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি শীর্ষ আদালতের

চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল আগেই। সেই মামলায় অভিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিক অনিল মাসিকে তিরস্কার করল শীর্ষ আদালত। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আরও জানায়, ভোটের আগে-পরে ঘোড়া কেনাবেচাও উদ্বেগজনক বিষয়।

গত ৩০ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। বিজেপিকে রুখতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ। ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্যদিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে কুলদীপের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মাসি। আপ-কংগ্রেস জোটের অভিযোগ, অনিল নিজেই কলম দিয়ে কয়েকটি ব্যালটে ‘দাগ’দিয়েছিলেন। পরে সেগুলোই বাতিল করেন তিনি। মেয়র নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খের। বিরোধী প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল হওয়ায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমে হয় ১২। এই ঘটনায় শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় মামলা। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আগেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মেয়র নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার বিকৃত করেছিলেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ আরও বলা হয়, ‘গণতন্ত্রের নামে প্রহসন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।’

এদিকে সোমবার ৩ আপ কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। যার জেরে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে জয় পেয়েছে বিজেপি। যদিও গোটা বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত পুনর্বির্বাচনের সম্ভবনা নেই। বরং মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনের যাবতীয় ব্যালট পেপার ক্ষতিয়ে দেখা হবে। নতুন নির্বাচনী আধিকারিকের তত্ত্ববধানে গোনা হবে ব্যালট।

Previous article‘সন্দেশখালি মণিপুর নয়’, মামলা শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট
Next articleনন্দীগ্রামে সহায়তা শিবির ভাঙচুর, বিজেপিকে ‘জমিদার’ বলে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের