‘সন্দেশখালি মণিপুর নয়’, মামলা শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট

আবেদনকারী নিজের আবেদন পেশের সময়ই সন্দেশখালির সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার তুলনা করেন। বিচারপতি নাগরত্না তখনই তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন মণিপুরে যা হয়েছে তার সঙ্গে এখানে যা হয়েছে তার তুলনা করবেন না।

সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্যের সম্মান ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্র পত্রপাঠ বিদায় হয়ে গেল। সন্দেশখালির বিষয়টি স্পর্শকাতর করে তোলার যে প্রয়াস সুপ্রিম কোর্টে হয়েছিল, সুপ্রিম নির্দেশের পর মামলার আবেদনকারী বাধ্য হলেন সেই মামলাই প্রত্যাহার করে নিতে। আবেদনকারীকে হাইকোর্টের ওপর ভরসা রাখার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ইস্যু তুলে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফায়দা তোলার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে রাজ্যের সব বিরোধী দল। ঘোলা জলে মাছ ধরতে কেন্দ্র থেকে একাধিক কমিটিও পাঠাতে বাকি রাখেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপরেও এই সংক্রান্ত ঘটনায় সিবিআই বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠনের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্না ও বিচারপতি জাস্টিস অগাস্টিন মাসিহর ডিভিশন বেঞ্চে।

সর্বোচ্চ আদালতে আবেদনকারী নিজের আবেদন পেশের সময়ই সন্দেশখালির সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার তুলনা করেন। বিচারপতি নাগরত্না তখনই তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন মণিপুরে যা হয়েছে তার সঙ্গে এখানে যা হয়েছে তার তুলনা করবেন না। এরপরই আদালতের পর্যবেক্ষণ বিষয়টি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে দুটি বিচারালয়ে একই মামলার শুনানির প্রয়োজন নেই। সিবিআই বা সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টই দিতে পারে। এই নির্দেশের পর আবেদনকারী নিজের মামলা প্রত্যাহার করে নেন। সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।