সন্দেশখালিতে অশান্তি বাধাতে এবার সিপিএমের মহিলা ব্রিগেড!

সন্দেশখালি যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে তখন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন বৃন্দা, কণীনিকা ঘোষ,জাহানারা খানেরা।

শান্ত সন্দেশখালিতে অশান্তি বাধাতে এবার সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাতের নেতৃত্বে সন্দেশখালি পৌঁছলেন সিপিএমের মহিলা ব্রিগেড । শান্ত সন্দেশখালিতে ফের অশান্তি বাধাতে সিপিএমের এই সন্দেশখালি যাওয়া। মঙ্গলবার সকালে সিপিএমের মহিলা সংগঠন এআইডিডব্লিউএ-এর কলকাতা অফিসে পৌঁছন বৃন্দা কারাত । সেখানে প্রাথমিক বৈঠক সেরে এআইডিডব্লিউএ-এর নেত্রী কনীনিকা ঘোষ-সহ একাধিক নেতানেত্রীকে নিয়ে সন্দেশখালি উদ্দেশ্যে রওনা দেন বৃন্দা কারাত । সন্দেশখালি যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে তখন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন বৃন্দা, কণীনিকা ঘোষ,জাহানারা খানেরা।

এই বিষয়ে সিপিএমের মহিলা সংগঠন এআইডিডব্লিউএ-র বক্তব্য, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান রক্ষার জন্য এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না । তাদের দাবি, প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে । পাশে আছে ছাত্র-যুব মহিলারা ।ছাত্র-যুব মহিলারা লড়াই জারি রাখবে।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিপিএমের আদিবাসী জনজাতি সংগঠনের নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম-সহ বহু বাম কর্মী-সমর্থক সন্দেশখালিতে যান । তার আগে ১১ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের ন্যাজাট ফেরিঘাটেই আটকে দেওয়া হয় । সেই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, পুলিশ বলছে আমরা অভিযোগ পায়নি। সেখানে আমাদের কর্মীরা যাবেন । নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ।

বৃন্দা বলেন, প্রথমে আমাদের আটকানো হয়েছিল। তার পর আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। শেষে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে সিপিএম নেত্রীদের।