মহারাষ্ট্রে বিজেপির লোকসভার বাজি মারাঠা সংরক্ষণ, ‘নিয়ম ভেঙে’ বিল পাশ

বিলে খুশি নন মহারাষ্ট্রে আন্দোলনরত মারাঠা জাতি। তাঁদের দাবি ছিল ১০ বা ২০ শতাংশ সংরক্ষণ হলে তা আবার আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাঁদের ওবিসি মর্যাদা দিলে তবেই তাঁদের সংরক্ষণে লাভবান হতে পারেন তাঁরা।

বিশেষ অধিবেশনে মহারাষ্ট্রে পাশ হল মারাঠাদের সংরক্ষণের বিল। নিজভূমে পিছিয়ে পড়া মারাঠাদের জন্য এবার মহারাষ্ট্রে শুরু হবে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন তাঁরা। তবে এই সংরক্ষণের ফলে সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল একনাথ শিন্ডে সরকার।

দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্রের মারাঠারা পিছিয়ে পড়া জাতি হিসাবে সংরক্ষণের দাবি তুলছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে বারবার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভূমিপুত্ররাই মহারাষ্ট্রে পিছিয়ে পড়া জাতি। একনাথ শিন্ডে সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মারাঠা সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনও পেয়েছিল তারা।

সেই উদ্দেশ্যে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষের মধ্যে সমীক্ষা করা হয়। আবারও প্রমাণিত হয় মারাঠারা মহারাষ্ট্রে কতটা পিছিয়ে পড়া। এরপরেই মঙ্গলবার বিশেষ অধিবেশনে পাশ হয় মহারাষ্ট্র স্টেট সোশ্যালি অ্যান্ড এডুকেশনালি ব্যাকওয়ার্ড বিল ২০২৪। রাজ্যপালের সই হলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। তবে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে সংরক্ষণ ৫২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এই দশ শতাংশ সংরক্ষণের ফলে মোট সংরক্ষণ ৬২ শতাংশ দাঁড়ালো।

তবে এই বিলে খুশি নন মহারাষ্ট্রে আন্দোলনরত মারাঠা জাতি। তাঁদের দাবি ছিল ১০ বা ২০ শতাংশ সংরক্ষণ হলে তা আবার আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাঁদের ওবিসি মর্যাদা দিলে তবেই তাঁদের সংরক্ষণে লাভবান হতে পারেন তাঁরা। কিন্তু একনাথ শিন্ডে সরকার তাঁদের বাস্তব উন্নয়নের কথা না ভেবে শুধুমাত্র ভোটের বাজারে যে বিল পাশ করেছে তাতে তাঁরা আন্দোলন জারি রাখারই সিদ্ধান্ত নেন।

Previous article“ক্ষমা চান মোদি-নাড্ডা”, পুলিশ আধিকারিককে ‘খালিস্তানি’ মন্তব্যে সরব তৃণমূল
Next articleপুলিশ আধিকারিককে ‘খালিস্তানি’ মন্তব্যে শুভেন্দুকে তুলোধনা তৃণমূল নেতৃত্বের, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি